১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বেনাপোল ঘীবা সীমান্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্বর্ণ পাচার খ্যাত ডন মিন্নু

রবিউল ইসলাম, বেনাপোল , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

বেনাপোল ঘীবা সীমান্তের আলাদ্দিনের চেরাগ প্রাপ্ত স্বর্ণ পাচার খ্যাত ডন মিন্নু। রাতারাতি কোটিপতি বণে যাওয়া এই মিন্নু ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দারিদ্রোর কষাঘাতে নুন আনতে পানতা ফুরানো পরিবার আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। কয়েক বছর পূর্বে বেনাপোল বাজারে একটি মুদি খানা দোকানের কর্মচারী রাতারাতি স্বর্ণ পাচার করে বনে গেছে সীমান্তের ডন। সরজমীনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিএনপি নেতা পিতা তবিবরের হাতেই তার এই স্বর্ণ পাচারের হাতেখড়ি। এক সময় পিতা তবিবর গরু পাচার কাজে লিপ্ত ছিলো এখন পন্থা পরিবর্তন করে ছেলেকে দিয়ে স্বর্ণ পাচারের রুট হিসাবে ঘীবা সীমান্ত ব্যবহার করে কয়েক বছরে বনে গেছে শত কোটি টাকার মালিক।

গত ২৯ মার্চ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা থানার কীর্তিপুর মোড় এলাকা থেকে ডিবি ও ঝিকরগাছা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৪টি সোনার বারসহ দুই স্বর্ণ পাচারকারিকে আটক করে। আটককৃত আসামী আল আমিন হোসেন (২৮) বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে ও মহিবুল (৩২) নড়াইল জেলার লোহাগড়াথানার জয়পুর গ্রামের আওয়াল মোল্লার ছেলে। আটকের পর মহিবুল ও আল আমিনকে ব্যপক জিজ্ঞসাবাদে তারা জানায় যে, ঢাকার বায়তুল মোকারামের থেকে সোনার চালানটি তারা সংগ্রহ করেছে। সোনার চালান নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঘিবার স্বর্ণ পাচারকারী ডন খ্যাত মিন্নুর মাধ্যমে ভারতে পাচার কথার কথা ছিল। তার আগেই ডিবি পুলিশের অভিযানে তারা আটক হয়।

ঘীবা গ্রামের অনেকে জানান, কামলা থেকে কোটিপতি হওয়া এই মিন্নু এখনও টাকার জোরে বাইরে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। একেক সময় একেক রকম মোটরসাইকেলে ব্যবহার করে। মিন্নু নিজেই বলছে তার নামে কোন মামলা নেই তাই কেও কিছু করতে পারবে না। তবে সোনা আটকের সময় তার নাম বলায় তাকে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে রক্ষা পেতে হয়েছে। এমন ঘটনা তার সাথে আগেও ঘটেছে টাকা থাকলে কিছুই হয়না বলে প্রকাশ্য বলে বেড়ায়। এর আগেও ১২ পিস সোনার বারসহ বিজিবির অভিযানে মিন্নু আটক হয় ওই মামলায় সে জামিনে আছে। এই ব্যবসা করেই এখন কোটিপতি মিন্নু।বেনাপোলে একটি মুদি দোকানের কর্মচারি এখন ৪টি কাভার্ডভান(ট্রাক),মাইক্রো,প্রাইভেট, ৩০ বিঘা জমি, বাড়ি সহ নগদ অগাধ টাকার মালিক এই মিন্নু। এসব অগাধ অবৈধ অর্থের উৎস তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই উন্মোচিত হবে। বেনাপোল সীমান্তের রঘুনাথপুর এবং ১নং ঘিবা থেকে ৭নং ঘিবা পর্যন্ত রয়েছে মিন্নুর এই স্বর্ণ পাচারের রাজত্ব। এছাড়া তার বাড়ির নিচে চড়–ইগাছী দিয়ে স্বর্ণ পাচারের প্রধার রুট হিসাবে ব্যবহার করে আসছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার প্রতিবেশি জানান, মিন্নু শুধু স্বর্ণ না সে ডলার ও অস্ত্র ব্যবসার সাথেও জড়িত প্রশাসন কোন অভিযান দিলে বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে সে নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করে। তাছাড়া সে ইন্ডিয়ান ভিসা নিয়ে নিয়মিত ভারতে যাতাযাত করছে। সীমান্তের এমন অসাধু ব্যবসায়ী ও দেশের শত্রæ কিভাবে ইন্ডিয়ান ভিসা পাই সেটাই আমার বোধগম্য নয়।