২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মহিপুরে দুই যুবক নির্যাতনের শিকার মসজিদের চাঁদার টাকা কম দেয়ায়

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , প্রকাশিত হয়েছে-

 

মহিপুরে মসজিদের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আনোয়ার মল্লিক (৩৮) ও আবু সালেহ নামের দুই যুবককে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুর থানার ধুলাসার ইউপির গঙ্গামতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র, আহত ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, প্রায় এক মাস আগে ওই এলাকার আবদুল আলীমের বাড়িতে আশেখালি জামে মসজিদের চাঁদা তুলতে যায় স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি জসিম, সম্পাদক আয়ূবআলী ও ছলেমান বিশ্বাসসহ আরো ২০ থেকে ২৫ জন। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আদুল আলীম ও তার স্ত্রী জয়নব বিবিকে তাদের বাড়িতে বসে মারধর করে। এনমকি টাকার পরীবর্তে ওই বাড়ি থেকে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল খুলে নিয়ে যায় চাঁদা আদায়কারীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে যুবক আনোয়ার মল্লিক। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে আনোয়ার ও আবু সালেহর উপর হামলা চালায় জুলহাস, নজরুল ও ইব্রাহিমসহ ২০/২৫ জন। এসময় তাদের দেশীয় অস্ত্র ও বিদ্যুতের মোটা তার দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীরে জখম করা হয়। এসময় তাদের বাঁচাতে স্থানীয় শাহআলম মুসুল্লী, বেল্লালসহ আরো চারজন এগিয়ে এলে তাদেরও পিটুনি দেয় হামলাকারীরা।

স্থানীয় এক গৃহবধূ হাওয়া বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান, ৭ রমজানে তার বাড়িতে প্রবেশ করে মসজিদের চাঁদা আদায়কারী দলের সদস্যরা। তাদের দুইশো টাকা দিলেও টাকা কম হওয়ায় তার ঘরে থাকা পানির কলসি পর্যন্ত নিয়ে যায় তারা। রমজান মাসে আমার কলসি বিহিন খুব কষ্ট হয়েছে।

গঙ্গামতি ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, এমনভাবে কোন মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে নির্যাতন করতে পারে আমি আগে দেখিনি। যারা মারধর করেছে তারা শালিশ বিচার মানে না। এবিষয়ে ওই মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আয়ূব আলীর মোবাইল ফোনে কলদিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

মহিপুর থানার ভারপওাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানায়, এঘটনায় এখনও লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।