৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নড়াইলে অভিনব কায়দায় স্বর্ণালংকার মেরামতের নামে প্রতারণা, আটক ৩

মোঃ খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, নড়াইল , প্রকাশিত হয়েছে-

 

দেশের অন্যান্য জেলার মতো নড়াইলেও স্বর্ণালংকার মেরামতের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৬ মে ভোরে নড়াইল সদর থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখা, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যৌথভাবে যশোর ও গোপালগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন- জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার হযরত আলী সোনারুর ছেলে মোঃ আলম মিয়া সোনারু(৩৭), মোঃ আমিনুল ইসলাম সোনারুর ছেলে সাদ্দাম হোসেন(৩৩) ও মোঃ হামেদ সোনারুর ছেলে বাবু সোনারু(২৫)। সকলেই অত্র থানার দক্ষিণ গাবের গ্রামের বাসিন্দা। এ সময় তাদের নিকট থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩ টি মোবাইল ফোন, ২টি লোহার হাতুড়ি, ২টি ছোট নিক্তি(দাঁড়িপাল্লা), ২টি হ্যান্ড গ্যাস মেশিন, ১ টি সানলাইট গ্যাসের কৌটা, ২টি শোন, ২টি লোহার কাতানী, ১টি সিটি গোল্ডের চুরি, ১১টি পিতলের গুল্টি, ১টি ব্রাশ ও ৩ টি কাসার তৈরী ডাইস জব্দ করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে নড়াইল সদর উপজেলার সলুয়া গ্রামে মেহেদি হাসান রানা(২৯) নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রতারণার ঘটনাটি ঘটে। ঐদিন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি স্বর্ণালংকার মেরামতের নামে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। অতঃপর মেহেদির মায়ের স্বর্ণের একটি চেইন মেরামত করতে গিয়ে ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে ফেলে। তারপর তার মাকে বুঝিয়ে চেইনটি একটা দলায় পরিণত করে দেয় এবং পরের দিন চেইনটি তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে মজুরি না নিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে চলে যায়। পরে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মেহেদির পরিবার ব্যর্থ হয়। অতঃপর তারা স্থানীয় স্বর্ণকারের নিকট গিয়ে জানতে পারেন তাদের নিকট থাকা দালাটি স্বর্ণের নয়। পরে মেহেদি বাদী হয়ে ২৫ মে নড়াইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন।

নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন নির্দেশনায় জেলা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে এবং প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।