ফুটবলে ব্যক্তিগত অর্জনে সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। গত প্রায় দুই দশক ধরে এই পুরস্কারকে অনেকটাই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময় দুজনে ভাগাভাগি করে জিতেছেন এ পুরস্কার। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের পরিসর থেকে বিদায় নেয়ায় মেসি-রোনালদো আর এবার ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচিত হননি।
২০২৪ সালে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার পাওয়ার জন্য মনোনিতদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল। ৩০ জনের এ তালিকায় নাম নেই মেসি কিংবা রোনালদো কারোরই। ২০০৩ সালের পর এমন ঘটনা এবারই প্রথম। ফলে এবার তরুণ তারকাদের মধ্য থেকে কেউ একজন এ পুরস্কার জিতবেন এমনই ধারণা করা হচ্ছে।
এবার ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং জুড বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পেছনে দুজনই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ওদিকে সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জেতা আর্লিং হলান্ডও এ পুরস্কারের দাবিদার। অনেকেই আবার চাইছেন, রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর স্পেনের হয়ে ইউরো জেতা দানি কার্ভালহালের হাতে ওঠুক ব্যালন ডি’অর।
অবশ্য এ পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার লাওতারো মার্তিনেজও। আর্জেন্টীনার হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ জেতা এ তারকা দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়েছেন। সিরি আ জেতা এ ই তারকা আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপাও জিতেছেন। ফলে অনেক সমর্থকই মার্তিনেজের হাতেই ব্যালন ডি’অর দেখতে চাইছেন। আর্জেন্টাইন তারকা নিজেও এ পুরস্কার জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে গতকাল গোলের দেখা পেয়েছেন মার্তিনেজ। এরপর ব্যালন ডি’অর জয়ের ব্যাপারে মার্তিনেজ বলেন, ‘ব্যালন ডি অর? আমি যে ধরনের মৌসুম কাটিয়েছি, এই জায়গায় থাকা আমার প্রাপ্য। কারণ আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি, গত কয়েক বছরে অনেক ভুগেছিও। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আমি এই জায়গায় আছি। আমার মনে হয় ট্রফিটার জন্য লড়াই করতে তৈরি আছি। ’
আপনার মতামত লিখুন :