২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শুকনো পিচে কি ৩ স্পিনারই খেলবে!

বিশেষ প্রতিনিধি , প্রকাশিত হয়েছে-

অন্য সময় মার্চ-এপ্রিলে শেরে বাংলার পিচ থাকে শুকনো, শক্ত। ব্যাটিং বান্ধব। সে জায়গায় এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম অব ক্রিকেটের উইকেট ছিল নরম। চিটচিটে। বল স্বাভাবিকের চেয়ে একটু থেমে এসেছে। বাউন্স ছিল মাঝারি। বোঝাই গেছে ইংলিশ বধের জন্যই উইকেটের চরিত্র পাল্টানোর চেষ্টা ছিল; কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।

সেখানে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ বরাবরই একটু শক্ত। বল ব্যাটে আসে দ্রুত। বাউন্সটাও থাকে ভাল। ব্যাটাররা, বিশেষ করে যারা ফ্রি স্ট্রোক খেলতে ভালবাসেন, তাদের স্বচ্ছন্দে ও স্বাভাবিক খেলার উপযোগী পরিবেশ।

এ কারণেই চট্টগ্রামে ভিনদেশি নামি ও বড় বড় ব্যাটারদের ভাল খেলা এবং রান করার রেকর্ডও বেশি। এইতো তিন মাস আগে ঢাকায় রান খরায় ভোগা ভারতের ইশান কিশান (১৩১ বলে ২১০) আর বিরাট কোহলিরা (৯১ বলে ১১৩) সাগরিকায় এসে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট পেয়ে জ্বলে উঠে ৪০৯ রানের হিমালয় সমান স্কোর গড়ে বসেন।

সেই পিচে জেসন রয়, ডেভিড মালান, ফিল সল্ট, জস বাটলার, মইন আলীদের সামনে বাংলাদেশ। যারা গত দুই তিন বছর রানের ফলগুধারা বইয়ে দিয়েছেন। যাদের খোলা তরবারির মত ব্যাটের ধারে লণ্ডভণ্ড হয়েছে বিশ্বের অনেক লদ্ধ প্রতিষ্ঠিত বোলিং লাইন আপ। সেখানে কি করবেন বাংলাদেশের বোলাররা?

কন্ডিশন বদলের কারণে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের গেম প্ল্যান, স্ট্রাটেজি আর টিম কম্বিনেশনও কী পাল্টাবে? এসব প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট শেরে বাংলার মত নয়। আজ রোববার মিডিয়ায় কথা বলতে এসে বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ আর ইংল্যান্ডের মার্ক উড- দুজনই এমনটা জানিয়ে দিয়েছেন। তাদের দুজনারই মত শেরে বাংলার উইকেট ছিল তুলনামূলক নরম। চিটচিটে। আর চট্টগ্রামের পিচ শুখনো, শক্ত।

তার মানে উইকেটের চরিত্র দু’রকম। আগামীকাল সোমবারের ম্যাচের একাদশের ধরন কি পাল্টাবে? তিন স্পিনার ফর্মুলা থেকে সরে তামিম বাহিনী কি কাল তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামবে?

এ প্রশ্নই উঁকি-ঝুকি দিচ্ছে। তবে সাগরিকার উইকেট শুকনো শুনে ভাবার কোন কারণ নেই যে এখানে বাড়তি পেসার খেলবেনই। সাধারণতঃ শুকনো পিচ একটা পর্যায়ে গিয়ে স্লো বোলারদের পক্ষ নেয়। সেখানে বরং¯স্লো বোলারদের কার্যকরিতার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হ্যাঁ, উইকেট হার্ড ও ফার্স্ট হলে ভিন্ন কথা। তখন পেসারদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাবে আপনা-আপনি। কিন্তু পিচ শুধু শুকনো হলে কিন্তু স্পিনারদের কার্যকর হবার সুযোগ থাকে। তাই সোমবারের ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে স্পিনার কমানোর সম্ভাবনা কম।

একাদশ কেমন হবে? কন্ডিশন বদলে একাদশেও কী ‘চেঞ্জ’ আসবে? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, ‘মার্চ মাস। আর্দ্রতা বেশি। পিচ একটু শুকনো। তবে তারপরও আগামীকাল সোমবার সকালে খেলার আগে পিচের চেহারা না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না। সোমবার খেলার আগে উইকেট দেখে তারপর একাদশ চূড়ান্ত করা হবে।

SK24/SMK/DESK