১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

পানি নাকি স্যালাইন গরমে সুস্থ থাকতে

বার্তা বিভাগ , প্রকাশিত হয়েছে-

হঠাৎ করেই গত কয়েকদিনে বেড়েছে গরম। দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তাপদাহ। এই সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। শরীরের পানি পানিশূন্যতা পূরণ করে ক্লান্তি দূরতে পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। তবে অনেকেই মনে করেন দ্রুত পানিশূন্যতা পূরণে পানির চেয়ে স্যালাইন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রশ্ন হল, সত্যিই কি শুধু ওআরএস বা খাবার স্যালাইন খেলে গরমে সুস্থ থাকা সম্ভব? নাকি গ্রীষ্মে নিয়মিত পানি পানও করতে হবে?

পানিই জীবন

রক্ত-উৎসেচক তৈরি থেকে শুরু করে দেহ থেকে ক্ষতিকর উপাদান বাইরে বের করে দেওয়া, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ শরীরের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে পানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে দেহে পানির ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। নইলে যে পড়তে হবে ডিহাইড্রেশনের ফাঁদে। তাই এই সময় প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন।

স্যালাইনের জুড়ি মেলা ভার

আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা খাবার স্যালাইন। আসলে কোনও কারণে ডিহাইড্রেশন হলে শরীর থেকে পানির পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান দ্রুত গতিতে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর সেই সুবাদে আক্রান্তের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেহে পানি এবং অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওআরএস। তাই সারা পৃথিবী জুড়েই ওআরএস-এর এতটা চাহিদা।

পানির থেকে কি ওআরএস বেশি উপকারী?​

পানির কোনও বিকল্প কোনওদিন ছিল না, আগামীদিনেও আসবে না। তাই যারা এই গরমে বাড়িতে বসে বা অফিসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্লোরে বসে কাজ করছেন, তারা শুধু পানিতেই ভরসা রাখতে পারেন। তাতেই সুস্থ থাকবেন। অপরদিকে যারা এই আবহাওয়ায় রোদ মাথায় নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কাজ করবেন, তারা সঙ্গে রাখুন ওআরএস ওয়াটার। তৃষ্ণা পেলে এই স্যালাইন পানি খেয়েই গলা ভেজান। ব্যস, তাহলেই হবে কেল্লাফতে।

বেশি ওআরএস খেলেই ফাঁসবেন​

আমাদের শরীরে প্রতিটি খনিজের ভারসাম্য থাকা খুবই জরুরি। কিন্তু আপনি যদি অকারণে ওআরএস ওয়াটার খেয়ে যান, তাহলে দেহে খনিজের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। আর সেই কারণে পিছু নিতে পারে একাধিক সমস্যা। এমনকি বিপদের মুখে পড়তে পারে কিডনি এবং লিভারের মতো অঙ্গগুলো। তাই এবার থেকে আর অকারণে ওআরএস পানি খাওয়ার ভুল করবেন না।

পানি ছাড়াও এইসব পানীয় চলতে পারে…​

অনেকেই বারবার পানি খেতে পছন্দ করেন না। তাই তারা পানি খাওয়ার পাশাপাশি ডাল, সুপ, ডাবের পানি, ফলের রস খেয়েও দেহে জলের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। তাতেই পাবেন একাধিক উপকার। তবে যাদের ক্রনিক কিডনি ডিজিজ রয়েছে, তারা বিশেষজ্ঞের কথা মতো মেপে পানি খান। নাহলে বিপদ বাড়বে।