সরকার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সুবিধা ও মর্যাদা দিয়েছে

শরণখোলায় বোরো ধান কাটা উৎসবে এমপি সোহাগ বর্তমান


শেখ মোহাম্মদ আলী , শরণখোলা প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ৯:২৪ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
শরণখোলায় বোরো ধান কাটা উৎসবে এমপি সোহাগ বর্তমান

বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, আমরা দেখেছি বিএনপি সরকারের আমলে কৃষকদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। সারের দাবিতে মিছিল করায় ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কোনো দাবি নিয়ে কৃষককে রাজপথে নামতে হয়নি। আর কোনোদিন রাজপথে নামতেও হবে না। কারণ বর্তমান সরকার কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা এবং মর্যাদা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শরণখোলায় বোরো ধান কাটা উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

উপজেলা কৃষিবিভাগের আয়োজনে রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের একটি মাঠের পাকা বোরো ধান কেটে ফসল কর্তনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এমপি বদিউজ্জামান সোহাগ তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ধানসহ নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন হচ্ছে। লবণাক্ত অঞ্চলের জন্য লবণ সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করায় উপকূলে সারা বছরই ধানচাষ হচ্ছে এখন। মাঠে মাঠে নানান জাতের ফসল ফলছে। কৃষকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এমপি সোহাগ আরো বলেন, কৃষকরা সুধু নিজেদের প্রয়োজনে কৃষিকাজ করেন না। তারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দেশের সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করছেন। সে কারণেই শেখ হাসিনার সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে ৫৭ টাকায় সার কিনে মাত্র ২৭ টাকায় কৃষকদের মাঝে বন্টন করছে। কৃষকরা যেনো সরকারের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম তারেক সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, শরণখোলার চারটি ইউনিয়নে এবছর ১হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সুষ্ঠু তদারকি ও পরামর্শে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৬ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি চাষাবাদে কৃষকের খরচ হয়ে ৮হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিমণ ধানের বাজার মূল্য এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০টাকা। দান বিক্রি করে কৃষক বেশ লাভবান হবেন। এবছর যে ফলন হয়েছে তাতে ৮ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০