আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের প্রথম দিন, ভালোবাসা ও বসন্তের আগমন যেন মানুষ ও প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলবে নতুন মাত্রায়।
শীতের হিমেল ভাবটা কেটে গেছে, বাতাস আর কাঁপন ধরায় না। বরং দূর থেকে ভেসে আসে মন উদাস করা ফুলের সুবাস। কোথায় যেন বাজে আনন্দের বাদ্য। সেই বাদ্য যেন কানে কানে বলে, দখিন দুয়ার খোলো, আমি এসেছি ঋতুরাজ বসন্ত। আবার প্রকৃতির উৎসবে যোগ দিতে ভালোবাসাময় দিনটিও হানা দিয়েছে দরজায়। ভালোবাসার মুহূর্ত আর বসন্ত উদযাপন একই সঙ্গে আজ মন থেকে মনে ছড়িয়ে পড়ার দিন।
তবে বসন্তবরণ উৎসব যেমন ছেলেবুড়ো সবার, তেমনি ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপও কিন্তু প্রকাশ করার দিন আজ। এ ভালোবাসা সন্তানের উপর বাবা-মায়ের, বাবা-মায়ের উপর সন্তানের। ভাই, বোন, বন্ধু- সবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন আজ। সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়ার দিন জীবনে তাদের গুরুত্বের কথা।
ফুলে ফুলে সেজে ওঠার আনন্দময় প্রস্তুতি এখন প্রকৃতিজুড়ে। গাছে গাছে উঁকি দেওয়া কচিপাতা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়ে দিচ্ছে শীতের রিক্ততাকে। শীতের খোলসে ঢুকে থাকা বন-বনানী অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠছে একটু একটু করে। বসন্তে পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। প্রকৃতি অকৃপণ হাতে ঢেলে দেয় তার সবটুকু রঙ, আর সেই রঙ ছুঁয়ে উৎসবে মেতে ওঠে পুরো দেশ। বাসন্তী রঙয়ের শাড়ি পরে ললনারা হেঁটে না গেলে প্রকৃতির বসন্তবরণও যেন পূর্ণতা পায় না। বেশবাসে সদ্য জেগে ওঠা প্রকৃতির ছোঁয়া নিয়ে ফাগুনের প্রথম দিনটিকে স্বাগত জানাতে বেরিয়ে পরার অপেক্ষা এখন কেবল। লাল আর বাসন্তী রঙে প্রকৃৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে আজ বসন্ত ও ভালোবাসার উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসবে বাঙালি।
এবারের বসন্ত নতুন জীবনীশক্তিতে প্রকৃতি ও প্রাণকে ভরিয়ে তুলুক। বসন্তের দোলা লাগুক বনে ও মনে। উল্লসিত মন গেয়ে উঠুক, ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। ‘