৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমদানি বন্ধে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি,অস্বস্তিতে ক্রেতারা

মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) , প্রকাশিত হয়েছে-

 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বাজার জুড়ে আগে থেকেই ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা না মিললেও আমদানি বন্ধের খবরে পাঁচ দিনেই বৃদ্ধি পেয়েছে দেশী পেঁয়াজের দাম।এতে করে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।গত ১৫ মার্চ থেকে দেশের হিলি স্থল বন্দর দিয়ে আইপি(ইমপোর্ট পারমিট)এর মেয়াদ শেষ হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ঘোড়াঘাট-হিলি পাশাপাশি উপজেলা হওয়ায় এরই মধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা দোকানে।

সোমবার (২০ মার্চ) পৌরএলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এই সিদ্ধান্তে কৃষকেরা খুশি হলেও ক্রেতা-ভোক্তারা অস্বস্তিতে আছেন। অনেকে মনে করছেন,এর ফলে রমজানকে সামনে রেখে সিন্ডিকেটের হাত ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে দেশী পেঁয়াজ কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা।আর এসময় সমস্ত বাজার ঘুরে কোন দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ খুজে পাওয়া যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন,আমদানি বন্ধ থাকলে দাম আরও বাড়বে।কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিচ্ছেন আর আমরা যারা খুচরা ব্যবসায়ী আছি,আমরা যেমন আড়ত থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসি তার উপর কেজিতে ২-৩ টাকা লাভে বিক্রি করি।তবে কেউ কেউ বলছেন,বৃষ্টি কারণে এমনিতেই দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম হয়।এ কারণে দাম বাড়তে পারে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভরা মৌসুম হওয়াতে দোকানে দোকানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তারপরও ভারতের পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের খবরে নড়েচড়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে দিনাজপুর ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম কাল বেলাকে বলেন,আইপি বন্ধের কারণে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আর অতীতের অভিজ্ঞতায় এবার দেশে পেঁয়াজের বাড়তি ফলন হয়েছে। ফলে সংকটের কোনো সুযোগ নেই। বাজার পরিস্থিতি আমরা পর্যালোচনার মধ্যে রাখছি।দাম বাড়াতে তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধে পুরো রমজান মাস জুড়ে বাজার তদারকি করবে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর।তাছাড়া কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি ও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।