২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফেব্রুয়ারিতেই ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে ৬৭০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা নিয়ে ‘পাওয়ার চায়না’র’ মালিকানায় বরগুনার তালতলীতে নির্মাণাধীন ৩০৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা ভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। ফলে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই তালতলীর নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ থেকে ৩০৭ মেগাওয়াটেরও বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

২০১৭ সালে ৬৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বরগুনার তালতলীর জয়ালভাঙ্গা এলাকায় কোল পাওয়ার প্লান্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করে চীনা প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার চায়না লিমিটেড’। কয়লা ভিত্তিক ওই উৎপাদন ইউনিটটি থেকে ২০২১ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ দেয়ার কথা থাকলেও পরে এক বছরের বর্ধিত সময়ে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষে গত বছর (২০২২) অক্টোবর মাসে তালতলীতে নির্মাণাধীন ওই পাওয়ার প্লান্টটি সাফল্যজনক ভাবে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্তির পরে এখন চুড়ান্তভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

প্রথমে এখানে ৩০৭ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট স্থাপনের কথা থাকলেও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিশ^ব্যপী পরিবেশবিদদের আপত্তির কারনে সরকার ২য় ইউনিট নির্মাণ থেকে সরে আসেন। ফলে প্রাথমিকভাবে এখানে ৩৫১ একর ভূমি অধিগ্রহণের কথা থাকলেও পরে ২৬০ একরের মধ্যেই একটি মাত্র ইউনিট স্থাপন করা হয়।

তালতলীর পাওয়ার প্লান্টটি নির্মাণে চীনের ‘পাওয়ার চায়না’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান সমুদয় অর্থ (৬৭০ মিলিয়ন ডলার) চায়না এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে প্রকল্পটি বাস্তায়ন করেন। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল ওই পাওয়ার স্টেশনটি নির্মাণ ও বিদ্যুৎ ক্রয়ে মালিকানা প্রতিষ্ঠানের সাথে পিডিবি’র চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ‘পাওয়ার চায়না’র’ কাছ থেকে পিডিবি প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ ৬.৮৮ টাকা দরে কিনবে। তবে চাহিদা কম থাকা বা কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতার কম বিদ্যুৎ গ্রহণ করলেও পিডিবি’কে পুরো বিদ্যুতের মূল্যই পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছে ‘পাওয়ার চায়না’র’ দায়িত্বশীলরা।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আবুল হাসিব জানান, ইতোমধ্যে পুরো কমিশনিংসহ প্লান্টের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই তালতলীর নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ থেকে ৩০৭ মেগাওয়াটেরও বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে।