২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হারাল আয়ারল্যান্ডকে

ক্রিড়া ডেস্ক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে । টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সেঞ্চুরি মিস করেন তৌহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। তবুও রেকর্ড ৩৩৮ রান তুলতে বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০.৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে রানের ব্যবধানে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।

শনিবার (১৮ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ৩ ও লিটন দাস ২৬ রান করেন। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে আসে ২৫ রান।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩৫ রান যোগ করেন তৌহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ডার সাকিব ৯৩ রান করে আউট হন। সাকিবের মতো হৃদয়ও আউট নড়বড়ে ৯০-য়ে। এক ম্যাচে দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ৯০-এর ঘরে আউট হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

সাকিব সেঞ্চুরি না পেলেও দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এ ছাড়াও ওয়ানডেতে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সাত হাজার রান ও ৩০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন সাকিব।

সাকিব-হৃদয় ছাড়াও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে আসে ৪৪ রান। ইয়াসির আলী রাব্বি শেষ দিকে ১০ বলে ১৭ ও তাসকিন ৭ বলে করেন ১১ রান। আয়ারল্যান্ডের হয়ে গ্রাহাম হিউম ৬০ রানে ৪ উইকেট নেন। তাদের ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত রেকর্ড ৩৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। এটাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

৩৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল ধীরগতির। দুই ওপেনার স্টিফেন দোহেনি ৩৪ ও পল স্টার্লিং ২২ রান করেন। ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৬০ রান। প্রথম উইকেট হারানোর পর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড।

দুই ওপেনারের পর আইরিশ ব্যাটিং অর্ডারের পরের তিন ব্যাটার আউট হন যথাক্রমে ৫,৩ ও ৬ রানে। ছয়ে নামা কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬ রান করে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। তবে পারেননি। গ্যারেথ ডিলেনি ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রেন ফিরে যান দ্রুত। মার্ক অ্যাডায়ার ১১ বলে ১৩ রান করে কিছুটা ঝড় তোলার আভাস দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেননি।

ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন জর্জ ডকরেল। শেষ পর্যন্ত ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ডকরেল।

বাংলাদেশের হয়ে উইকেটে ঝড় তোলেন নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেন। ইবাদত চারটি ও নাসুম আহমেদ নেন তিন উইকেট। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ শিকার করেন দুই উইকেট।