বেনাপোল স্থলবন্দর শুল্ক ফাঁকি চেষ্ঠায় পণ্য পাচারকালে বিপুল পরিমান ফেব্রিক্স আটক


রবিউল ইসলাম, বেনাপোল প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ৯:৪১ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
বেনাপোল স্থলবন্দর শুল্ক ফাঁকি চেষ্ঠায় পণ্য পাচারকালে বিপুল পরিমান ফেব্রিক্স আটক

 

বেনাপোল স্থলবন্দরের ১৭ নং পণ্যগার হতে শেড ইনচার্জ মতিনুল হকের যোগসাজে শুল্ক ফাঁকি চেষ্ঠায় পণ্য পাচারকালে বিপুল পরিমান ভারতীয় ফেব্রিক্স জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদীন ধরে একটি অসাধু চক্র বেনাপোল স্থলবন্দরের কতিপয় অসাধু কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজে কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ভারত হতে পণ্য আমদানিকরে ও বিশেষ সুবিধায় বন্দর,কাস্টমস,বিজিবি,শুল্ক গোয়েন্দা ম্যানেজ করেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে । এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে বন্দরের ১৭ নং পণ্য শেড হতে বাংলাদেশী ট্রাক খুলনা মেট্রো ট ১১-২১৬৭ নাম্বার ট্রাক যোগে পণ্য লোড কালীন সময়ে বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলা চৌধুরী এর নেতৃত্বে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা পণ্য চালানটি জব্দ করেন। পণ্য চালানে শাটিং পিচ,থ্রিপিচ,শাড়ী ও প্যান্ট পিচ রয়েছে বলে জানাগেছে। সংবাদ লেখাকালীন সময়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি জব্দকৃত মালামালের ওজন নির্ধারনের কাজ চলছে।

অভিযুক্ত শেড ইনচার্জ মতিন জানান,আজ সকালে মিয়াম সি এন্ড এফ এজেন্ট এর বর্ডারম্যান আব্দুলা নামের জনৈক ব্যাক্তি আমার উপস্থিতিতে পণ্যগারে কাস্টমস কর্তৃক জব্দকৃত পণ্যচালানটি ঢোকান। পণ্য চালানটি এন্ট্রির পূর্বেই বাংলাদেশী ট্রাকে লোডরত অবস্থায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটক করে। গনমাধ্যম কর্মীদের জব্দকৃত পণ্য চালান সম্পর্কের বিষদ জানাতে তিনি অনীহা প্রকাশ করেন।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্য চালান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আযহারুল ইসলাম জানান,ইতিমধ্যে তিনি পণ্যগারটি পরিদর্শন করেছেন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মাল গননার কাজ করছেন। সাংবাদিকদের তথ্য দিতে অনীহা ও নিয়ম বহির্ভূত কাজে শেড ইনচার্জ জড়িতের প্রশ্নে তিনি বলেন এহেন কাজের দায় ভার শেড ইনচার্জ কোন ভাবেই এড়াতে পারেনা।

উল্লেখ্য বেনাপোল স্থলবন্দরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল ইসলামের দায়িত্ব পালন কালীন সময় থেকে স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি,পণ্য চুরি,ঘোষাণা বর্হিভূত আমদানি পণ্য পাচার কার্যক্রম বহুগুন বেড়ে যায়। কিছুদিন পূর্বে শেড ইনচার্জ তাপস স্থলবন্দরের ২২ নং শেড হতে ৪ ব্যারেল ক্যামিকেল পণ্য পাচার পূর্বক বিক্রয় করেছেন বলে নিলামক্রেতা অভিযোগ জানিয়েছেন। সাম্প্রতি সময়ে সরকার পতনের পর হতেই বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় সরকারী রাজস্ব ফাঁকিতে জড়িতরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০