২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আমতলীতে ঘুষ নিয়ে প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি , প্রকাশিত হয়েছে-

 

বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  বিরুদ্ধে শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিয়ে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপজেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযোগ দেওয়া শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন উপলক্ষে ৯ জন প্রিসাইডিং, ৫৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১১৮ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা।

শিক্ষকদের অভিযোগ টাকার (ঘুষ) বিনিময়ে ওই সকল পদে বিভিন্ন অনভিজ্ঞ শিক্ষকদেরকে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন। আর যে সকল শিক্ষকরা টাকা (ঘুষ) দেননি তাঁদের নিয়োগ দেয়া হয়নি।

কুকুয়া গোজখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আলম দাবী করেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম রেজা টাকার বিনিময়ে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তিনি ৩ শিক্ষকের ঘুষের টাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দেওয়ার পরেই তাঁরা ৩ জনই ওই নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন।

আঠারোগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আখতারুজ্জামান জাকির খান জানান, ওই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম রেজা আমার কাছে টাকা (ঘুষ) দাবি করেছেন। টাকা না দেওয়ায় তাকে নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফিক বলেন, টাকা ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তা কাউকে নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব দেয় না। টাকার বিনিময়ে অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের তিনি নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা টাকা (ঘুষ) নিয়ে শিক্ষকদের নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পায়নি তাঁরাই আমার বিরুদ্ধে জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন।

বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হাই আল হাদী অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোন বলেন,  শিক্ষকেরা আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। আমি তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

SK24/SMK/DESK