২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমতলী পৌরসভার ৫টি পরিবার আড়াই মাস যাবত পথ-অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে, চলাচলে দারুণ ভোগান্তি

হায়াতুজ্জামান মিরাজ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

বরগুনা: আমতলী পৌরসভার ৫টি পরিবার গত আড়াই মাস যাবত পথ-অবরুদ্ধ হয়ে আছে। চলাচলে পোহাচ্ছে দারুণ ভোগান্তি। পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব।

জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজিজ সেক্রেটারিকে (নাসির মোল্লা ও ৩টি ভাড়াটিয়া) আড়াই মাস যাবত পথ-অবরুদ্ধ করে রেখেছে প্রতিবেশী খোকন নামে এক ব্যক্তি। মৃত নূর হোসেনের ছেলে খোকন শুধু পথ অবরুদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, সম্প্রতি ওই চলাচলের পথের উপর একটি পায়খানাও বসিয়ে চরম অপদস্ত করেছে ওই ৫টি পরিবারকে। ভূক্তভোগী ওই ৫টি পরিবারের লোকজন এখন অন্য বাড়ির ‘পাছদুয়ার’ (মহিলা আঙ্গিনা) দিয়ে তাদের করুণা ভিক্ষা করে চলাচল করতে হচ্ছে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা অদ্যবদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, পথরুদ্ব করা জায়গায় পূর্ব-পশ্চিম দিঘলি ১টি মূল সড়ক থেকে ১টি ছোট সংযোগ সড়ক ১টি পুকুর পাড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। পুকুরটির পূর্ব প্রান্তে নাসির মোল্লা ও আজিজ সেক্রেটারির বসতবাড়ি ও পশ্চিম প্রান্তে খোকনের বসতবাড়ি। পুকুর পার দিয়ে পূর্বে-পশ্চিমে ২ দিকে ২টি গৃহস্থ পরিবারের লোকজন চলাচল করে। সংযোগ সড়কের মুখশাসহ পুকুরের বেশির ভাগ জমিই বৈধভাবে আজিজ সেক্রেটারির কবলাকৃত জমি। অন্যদিকে অবৈধ কাগজপত্রের জোরে খোকন ওই জমি তার দাবি করে আসছে। আজিজ সেক্রেটারি যাতে ওই জমি ভোগ দখল করতে না পারে সে জন্য খোকন আমতলী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ১৪৪ ধারায় একটি মামলাও দায়ের করে রেখেছে। যা এখন চলমান অবস্থায় আছে।

অপরদিকে আজিজ সেক্রেটারি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ইউপি সচিব। চাকরির শেষ অবস্থায় তিনি কোন মামলা- মোকদ্দমায় জড়াতে চাননি। তাই নিরব থেকেছেন। এই সুযোগে খোকন পুকুর পাড়ের সংযোগস্থল নিজের আয়ত্তের মধ্যে রেখে আজিজ সেক্রেটারির চলাচলের পথ বন্ধ করে ফেললে ওই ভূক্তভোগী ৫টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অন্য বাড়ি ওয়ালারাও চলাচলে বাঁধা দিচ্ছে। তারা এখন পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবর চেয়ে আছেন।

ভাড়াটিয়া সিনিয়র সাংবাদিক মুনশী আনোয়ারসহ অন্যান্য ভূক্তভোগীরা জানায়, ভূক্তভোগী আমরা ৫টি পরিবারের লোকজন এখন অন্য বাড়ির ‘পাছদুয়ার’ (মহিলা আঙ্গিনা) দিয়ে তাদের করুণা ভিক্ষা করে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ইউপি সচিব আজিজ সেক্রেটারি বলেন, ওই জমি আমার কবলাকৃত সম্পত্তি। ওই জমির মধ্যে পুকুর পাড়ের ওই রাস্তা দিয়ে আমিসহ ৫টি পরিবার চলাচল করে আসছি। আমার প্রতিবেশী খোকন জোর করে আমাদের চলাচলের ওই জমি দখল নিয়ে সেখানে একটি পায়খানা বসিয়েছে। বিষয়টি আমি পৌর মেয়রকে জানালেও প্রায় আড়াই মাস পর্যন্ত আমরা ৫টি পরিবার অবরুদ্ব অবস্থায় আছি। পৌরসভা থেকে এখনো এর কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। এখন আমাদের চলাচলে দারুন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

অভিযুক্ত খোকন বলেন, আমি কোন পরিবারকে অবরুদ্ব করিনি। ওই জমি আমার তাই ওখানে পায়খানা বসিয়েছি।

আমতলী পৌরসভার মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারপরেও বিষয়টি আমি দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নিচ্ছি।