২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

কুয়াকাটার রাখাইন যাদুঘর: জানা যাবে রাখাইনদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী , প্রকাশিত হয়েছে-

 

কুয়াকাটা সৈকত থেকে আট কিলোমিটার দ‚রে মিশ্রিপাড়া গ্রামে পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ রাখাইন জাদুঘর নির্মান করা হয়েছে। দুই শতাংশ জমির উপর নির্মিত এই যাদুঘরটি বর্তমানে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নতুন আকর্ষণে রুপ নিয়েছে।

জানা গেছে, রাখাইন সস্প্রদায়ের ব্যবহারের হাজার বছর পুরানো তৈজসপত্রসহ নানান শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে যাদুঘরটি। রাখাইনদের ব্যবহার্য ২০ ধরনের উপকরণ রাখা হয়েছে এখানে। এরমধ্যে রয়েছে রাখাইন ভাষায় তালপাতায় লেখা পুঁথি, সেগুন কাঠের বাক্সসহ বিভিন্ন ধরনের পাত্র, পশুর হাড় দিয়ে তৈরি অস্ত্র, পিতলের ঘণ্টা, হরিণের চামড়াসহ নানান জিনিস। এসব উপকরণ স্থানীয় প্রবীন রাখানইনদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জাদুঘরের দেয়ালে অঙ্কন করা হয়েছে রাখাইনদের প্রথম রাজা চন্দ্রসূর্য ও শেষ রাজা মহাথামান্দার ছবি।

কুয়াকাটার স্থানীয় বাসিন্দা ইমন বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা এই যাদুঘরের মাধ্যমে রাকাইনদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রাচীন কুয়া ও ঐতিহ্যবাহী মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির অবস্থিত এই যাদুঘরের পাশে। জাদুঘরটিতে রাখাইনদের ব্যবহৃত পুরনো বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়েছে।

জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা রাখাইন মং লাচিং এবং মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু জানান, এই যাদুঘরটি আমাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ধারন করবে। যাদুঘরের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কে কুয়াকাটার পর্যটকরা বিস্তর জানতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, “এই যাদুঘরটি আমি ২০১৮ সালে উদ্ভোধন করেছি। এর পর এখন পর্যন্ত স্থানীয় রাখাইনদের সহযোগীতায় যাদুঘরটিতে বিভিন্ন দর্শনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুয়াকাটায় যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন তারা সহজেই এ জাদুঘর ঘুরে সম্প্রদায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। ক্রমশই বিভিন্ন উপকরন সংগ্রহ করে এ জাদুঘরের সংগ্রহশালা আরও সমৃদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।