২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘরভাড়া, পানি বিল দেয়া লাগেনা গীতা রাণীর

সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী , প্রকাশিত হয়েছে-

নিজের জমি না থাকায় অন্যের বাসায় ভাড়া থাকতো যারা, তারা এখন মুজিববর্ষের ঘর পেয়ে মহাখুশি। এছাড়াও তারা মুজিববর্ষের ঘরে থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে নিজেরাই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। গত দুই বছর ধরে খুঁজে খুঁজে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ১২৫২ জনকে দেয়া হয়েছে এসব ঘর। তাই পটুয়াখালী সদর উপজেলাকে ২২মার্চ ঘোষনা করা হচ্ছে গৃহহীন ও ভ‚মিহীন মুক্ত উপজেলা।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতার নামে একজন পেয়েছেন মুজিববর্ষের ঘর। তিনি অসেক বছর অন্যের বাসায় ভাড়া থাকতেন। নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিজের ঘর বাড়ি হাড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন মুজিববর্ষের ঘর পেয়ে আশ্রয়স্থল হয়েছে তার। সুলতানের মতো আরও একজন সুবিধাভোগী হাফিজা বেগম। জীবনে কখনও কল্পনাও করতে পারেননি এত সুন্দর ঘর উপহার পাবেন তিনি। শহর সংলগ্ন টাউন জৈনকাঠি গ্রামে ১৪টি মুিজববর্ষের ঘর এক সাথে। ওই ঘরের সর্ব দক্ষিনের ঘর পেয়েছেন গিতা রাণী নামে একজন মহিলা। তিনি গত ২৬বছর পর্যন্ত শহরের চরপাড়া এলাকায় অন্যের বাসায় ভাড়া থাকতেন। স্বামী হরলার চন্দ্র দিনমজুরির কাজ করতো। সেখান থেকে যা আয় হতো তার বড় একটি অংশ ঘরভাড়া, পানি বিল আর বিদ্যুৎ বিলের পিছনে ব্যয় হতো। নিজের কোন জমি না থাকায় গ্রাম থেকে ২৬বছর আগে শহরে এসে অন্যের বাসায় ভাড়ায় থাকতো। আজকে গিতা রানী আর তার স্বামী মুজিববর্ষের ঘর পেয়ে মহা খুশী। এখন ঘরভাড়া দেয়া লাগেনা, পানির বিল দেয়া লাগেনা। এছাড়াও হেতালিয়া বাধঘাট সংলগ্ন আশ্রায়নে ঘর পেয়েছে শিখা রানি। এরা সকলে ঘরের আশপাশেই শাকসবজি লাগিয়ে হাস, মুরগির খামার করে স্বাবলম্বি হচ্ছেন।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা জানিয়েছেন, ২২মার্চ জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে পাচটি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভ‚মিহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। দেশের সর্বদক্ষিনের জেলা পটুয়াখালীতে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী সদরসহ ৫টি উপজেলাকে গৃহীন ও ভুমিহীন মুক্ত ঘোষনা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় আশ্রায়ন-২ প্রকল্প থেকে ১ম পর্যায়ে ৩০০টি, ২য় পর্যায়ে ৮৭০টি এবং ৩য় পর্যায়ে ৮২টি ঘর নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১২৫২ টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর ফলে উপজেলার ১২৫২টি ভ‚মিহীন গৃহহীন পরিবার একখন্ড জমি সহ একটি নিজস্ব ঠিকানা পেয়েছে।