১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জনপ্রিয়তা বাড়ছে লিটনের “ভাতের বাটির”

কে এম শাহাবুদ্দিন শিহাব, কুয়াকাটা , প্রকাশিত হয়েছে-

 

কুয়াকাটায় লিটনের “ভাতের বাটির” খাবারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। স্বল্প খরচে মানসম্মত খাবার পাওয়ায় খুশি স্থানীয় সহ আগত ভ্রমনপিপাসু পর্যটকরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতে জিরো পয়েন্টের মসজিদ মার্কেটের ছোট্ট একটি দোকান যেখানে নিজসন্তান এবং লিটন নিজে পাঁচ বছর আগে তার ভাতের হোটেলটি শুরু করেন। নেই কোন পাকা স্থাপনা, নেই কোন কর্মচারী। ঘরোয়া পরিবেশে খাবার তৈরি করে সেগুলো বাটিতে করে নিয়ে আসা হয়,। স্বল্প টাকায় মানসম্মত খাবার পাওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং পর্যটকরা।

কুয়াকাটা সৈকতের স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাসান হাওলাদার বলেন, আমাদের অনেকেরই বাসা একটু দূরে দূরে প্রায়ই দুপুরের খাবার হোটেলে খেতে হয়, লিটনের বাটির খাবার আসার আগে দুপুরের খাবার খেতে বিভিন্ন ব্যবসায়িকে গুনতে হতো বাড়তি অর্থ। এখন আর বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হয় না।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক মাহিম বলেন,আমরা পরিবারের প্রায় ১০ জন লোক কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি,আমার বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে লিটনের বাটি আছে এখানে, ১০০ টাকা দিয়ে গরুর মাংস এবং ভাত ৮০ টাকা দিয়ে মুরগি এবং ৭০ টাকা দিয়ে মাছ পাওয়া যায়, আমরা তো অবাক আমরা গেলাম এবং খাইলাম স্বল্প খরচে এত সুন্দর খাবার এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। দোয়া করি লিটন ভাইয়ের জন্য।

হোটেল মালিক লিটন খান বলেন,১০ বাটি দিয়ে আমি ৫ বছর আগে আমার ব্যবসা শুরু করি, শুরুর দিকে , মাছ দিয়ে ৫০ টাকা আর ভর্তা, ডাল, সাদা ভাত গরুর মাংস দিয়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হতো। এরপরে যখন দ্রব্যমূল্য বাড়তে শুরু করে তখন ভর্তা, ডাল, সাদা ভাত, মাছ দিয়ে ৭০ টাকা আর মুরগির মাংস দিয়ে ৮০ টাকা এবং গরুর মাংস দিয়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দোকান ভাড়া কম হওয়ায় এবং আমার কর্মচারী না থাকায় আমি স্বল্প মূল্যে স্থানীয় সহ পর্যটকদকদের খাওয়াচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ দৈনিক ভালোই বিক্রি হয় আমার।

সময়/নাছিম/কুয়া/খবর