বরগুনার তালতলীতে একই নারীর সঙ্গে একের পর এক রাজনৈতিক নেতাদের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় বিষয়টিকে নির্বাচনী ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বী ঈর্ষান্বিত হয়ে গত নির্বাচনের মতো এবারও আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে নিয়ে প্রযুক্তির কারসাজির মাধ্যমে (সুপার এডিট) নোংরা ষড়যন্ত্র করে সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্ঠা করছে। যে বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিব্রত ও লজ্জিত। আমাকে নিয়ে যে কুচক্রী মহলটি এই নোংরা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া ওই ঘটনার সাথে দলের এক প্রভাবশালী নেতা জড়িত বলে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।

বৃহস্পতিবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর অবস্থায় ছবি-ভিডিও ভাইরাল হয়। এর আগে গত ১২ এপ্রিল তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গেও ওই একই নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তিনি তার সাংগঠনিক পদ হারান।

এছাড়াও তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরো স্থানীয় কয়েক নেতার সঙ্গেও ওই একই নারীর এমন ভিডিও রয়েছে বলে উপজেলাব্যাপী গুঞ্জন উঠেছে। এমন গুঞ্জনের পরে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু ওই নারীর বিরুদ্ধে তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন পচাঁকোড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। ইউপি চেয়াম্যানের মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে আছেন ওই আলোচিত নারী।