নির্বাচনের আগের দিন কারাগারে ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী


নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রকাশের সময় : মে ৭, ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
নির্বাচনের আগের দিন কারাগারে ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী

 

 

ভোটগ্রহণের আগের দিন দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মে) আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মো. নাসির।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৬ জুন ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসঙ্গতি দেখতে পাওয়ায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরো ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলো সিআইডি। রুবেল-বরকত ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন— নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো: বিল্লাল হোসেন, মো: সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো: সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেষ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, মো: শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো: বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো: নাছিম, মো: জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো: আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো: হাসান, মো: জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মন্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুনুম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট জাহিদ বেপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো: মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো: আব্দুল জলিল শেখ, মো: রফিক মন্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামিরা। অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১