৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পুলিশ আত্মীয়র দাপটে ভুট্টা ক্ষেতে পানি সেচে বাধা, কয়েক একর ফসল নষ্ট

মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফা, লালমনিরহাট , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

শত্রুতা বসত অন্যের জমির ফসল নষ্টের অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের অনুকুল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ অফিসারের আত্মীয় হওয়ায় এলাকায় অনুকুলের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম। এর আগে গত ৭ মার্চ ওই ইউনিয়নের পুর্ব বিছনদই এলাকার মহেন্দ্রনাথ বর্মন বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযুক্ত অনুকুল একই এলাকার মৃত খিতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। সে অত্র এলাকায় বদমেজাজী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত বলে জানান অনেকেই।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অনুকুল ও তার আপন চাচাতো ভাই মহেন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। অনুকুলের জমির পাশেই মহেন্দ্রর জমি। সেই জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন মহেন্দ্র ও তার ভাই। গত মঙ্গলবার ওই জমিতে পানি সেচ দিতে যান মহেন্দ্র। কিন্তু অনুকুলের জমির উপর দিয়ে পাইপ নিয়ে গিয়ে মহেন্দ্রর জমিতে তিনি কোন ভাবেই সেচ দিতে দেননি। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে মহেন্দ্রকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেন অনুকুল।

এনিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে হাতীবান্ধা থানার এসআই কমল কৃষ্ণ রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ভুট্টা ক্ষেতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুকুলকে বলেন।

এরই জের ধরে অনুকুল বুধবার রাতে মেশিনের বোডিং এ বড়বড় গাছে টুকরো ফেলে দেয়াসহ শ্যালো মেশিনের বডিংটি নষ্ট করে দেয় অনুকুল।

অভিযুক্ত অনুকুল মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের নিকট আত্মীয় সহ প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না।

অভিযুক্ত অনুকুল সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সে আমার চাচাতো ভাই জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের সে কারণেই মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে তদন্তকারী অফিসার উপপরিদর্শক (এস আই) কমল কৃষ্ণ রায় বলেন তাদের দুজনের বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। তবে অনুকূল তার আত্মীয় নয় বলে তিনি দাবি করেন।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন বিষয়টি জেনেই দ্রুত আইননানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।