বেদখল সরকারি জমি, বাঁধাগ্রস্থ বাজার উন্নয়ন কাজ


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
বেদখল সরকারি জমি, বাঁধাগ্রস্থ বাজার উন্নয়ন কাজ

পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া বাজার এলাকায় সরকারি জমি দখল করে  দোকানঘর, মাছের ঘের ও মুরগির খামার করেছেন স্থানীয়  প্রভাবশালীরা। অভিযোগ উঠেছে,  ভূমি অফিসের অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপণা তুলেছেন দখলদারেরা।

দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি বেদখল থাকায় বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে ধুলিয়া বাজার উন্নয়ন  প্রকল্পের কাজ।  সম্প্রতি  ওই সরকারি জমিতে লাল নিশান টাঙিয়ে দেওয়া হলেও অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদে   প্রশাসন নিরব থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন  সাধারন মানুষ।

স্থানীয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ধুলিয়া ইউনিয়নের  ঘুরচাকাঠী মৌজায়  সরকারি খাস খতিয়ানের ১০/১৫৮৭ দাগে ২.৭০ একর জমি রয়েছে। যার মধ্যে ধুলিয়া বাজার এলাকায়  প্রায় ৮০ শতাংশ  জমি খাস জমি রয়েছে। এসব জমি দীর্ঘদিন ধরে বেদখল রয়েছে।  স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি জমিতে পাকা দোকান ঘর, মুরগির খামার ও মাছের ঘের করেছেন।  এতে সরকারি জমি বেদখল থাকায়  বাজার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধুলিয়া বাজারের প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে সরকারি জমিতে ২০/২২ পাকা – আধা পাকা ঘর রয়েছে। এসব দোকানঘর অন্যজনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন দখলদারেরা। দোকান ঘরের পিছনের ডোবা নালায় মুরগির খামার ও মাছের ঘেরও করেছেন তারা।  সরকারি জমিতে এসব দোকান ঘরের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা  সুমন মিয়ার ৪টি,  সজল ওঝার ৩টি, তার ভাই সুশান্ত ওঝার ২টি,  ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাসির উদ্দিনের ১টি ও মিজান হাওলাদারের ২টি ঘর রয়েছে।

গতকাল (বুধবার) সরকারি ওই জমিতে সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি  অফিস কর্মকর্তা।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,  সরকারি জমিতে ঘর, মুরগির খামার ও মাছের ঘের করে ভোগ দখল করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী  ব্যক্তিরা।  তারা নিয়মতি ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে থাকেন। যার কারণে বেদখল হওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ উঠেছে।
তবে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে স্থাপণা নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সজল ওঝা,  সুশান্ত ওঝা, নাসির উদ্দিনসহ অনেকে। তারা জানান,  ধুলিয়া মৌজায়   রাজেশ্বর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে সরকার ৫০শতাংশ জমি বন্দবস্ত দেন।  সেই জমি অনেকের কাছে বিক্রি করেন। পরে তাতে স্থাপণা নির্মাণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মু. হুমায়ন কবির জানান,‘ ধুলিয়া বাজারের সড়ক প্রস্থকরণ ও বাজার সম্প্রসরণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।  কিন্তু  সরকারি জমি বেদখল থাকায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা  সরকারি জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, বন্দবস্তের জমি ধুলিয়া মৌজায়। আর বাজারের সরকারি জমি ঘুরচাকাঠী মৌজায়। যা  তশিলদারসহ ভূমি অফিসের লোকজন পরিমাপ করে জমির সিমানা নির্ধারণ করেছেন।

দখলদারদের কাছে ম্যানেজ হওয়ার বিষয় অস্বীকার করে ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম খান বলেন, প্রাথমিক ভাবে খাস জমির সিমানা নির্ধারণ করে সেই জমিতে লাল নিশান টাঙিয়ে জমি দখলে নেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদের জন্য  উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহাকরী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ডু বলেন,‘ সরকারি জমি খালি করতে বলা হয়েছে। যদি স্বইচ্ছায় তারা চলে না যান, তাহলে  উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

SK24/SMK/DESK


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০