২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভারী বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টিতে আতঙ্কে তরমুজ চাষিরা

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

বরগুনার আমতলী ও তালতলীসহ সমগ্র উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তরমুজ চাষিরা।

মঙ্গলবার দুপুরের পরে হঠাৎ করেই আমতলী তালতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেলে তা দমকা, ঝড় হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে রূপ নিয়ে অঝোরে বজ্রবৃষ্টি চলতে থাকে।

খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিসের একটি সূত্র জানায়, অফিসের মেঘ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত আর ঝড় বাতাসের প্রভাব থাকতে পারে। তবে দ্রুত আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। নিম্নচাপের প্রভাবে চলমান এই বৃষ্টি থাকতে পারে আরো কয়েক দিন।

এদিকে মুষলধারে শিলা বৃষ্টি পড়ায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে আমতলী ও তালতলীসহ উপকূলের তরমুজ চাষীরা। তাদের রোপককৃত ক্ষেতে ইতিমধ্যে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। পানিতে গাছ ও ফল নষ্ঠ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তারা দ্রুত ক্ষেতে জমে থাকা ওই পানি সেচ দিয়ে নিস্কাশনের ব্যবস্থা করছেন।

আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের রাওঘা গ্রামের লিটন মৃধা বলেন, এ বছর দুই কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গাছে ফলনও ভালোই পড়ছে। তবে শিলা বৃষ্টির কারনে আতংকে আছি যদি নষ্ট হইয়া যায়। তাহেলে আমার সব শেষ হইয়া যাইবে।

আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাজীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম, তালতলী উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া গ্রামের আবু সালেহসহ একাধিক তরমুজ চাষীরা জানান, হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। অতিরিক্ত পানি জমে আছে তরমুজ ক্ষেতে। এতে গাছ ও তরমুজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিভিন্ন মাধ্যমে সেচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, অত্র উপজেলায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দ্বিগুণেরও বেশী জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।

ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু আজকে মুষলধারে ভারী বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে পানি জমে থাকায় কৃষকরা আতংকে রয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাপ এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত ক্ষেত থেকে পানি সেচ করতে হবে।