১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চন্দ্রিমা উদ্যানের তিন শতাধিক গাছ কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্ত

বার্তা বিভাগ , প্রকাশিত হয়েছে-

>রোববারের কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চন্দ্রিমা উদ্যানের তিন শতাধিক গাছ। উপড়ে পড়া গাছ ও ভেঙে পড়া ডালপালা এখনো অপসারণ না করায় দর্শনার্থীদের হাঁটাচলা বিঘ্নিত হচ্ছে।

চন্দ্রিমা উদ্যানের গাছ দেখভালের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরবরি কালচার উপবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শনিবারের ঝড়ে প্রায় ১৫০টি পুরোনো গাছ সমূলে উপড়ে পড়েছে। এ ছাড়া আরও দেড় শতাধিক গাছের ডালপালা ভেঙে গেছে। ভেঙে গেছে ১৫ টির মতো ল্যাম্পপোস্টও।

বাগানের কর্মী মো. হোসেন বলেন, তিনি তাঁর ২০ বছরের চাকরিজীবনে ঝড়ের কারণে এত গাছের ক্ষতি হতে দেখেননি।

গতকাল মঙ্গলবার দেখা যায়, উদ্যানজুড়ে পড়ে আছে ভাঙা গাছ, ডালপালা। মাটিতে নুইয়ে পড়ে আছে বড় বড় গাছ। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাশিয়া গাছ। এই সংখ্যা অন্তত ১০০। গাছ ভেঙে পড়ে থাকায় উদ্যানের ভেতরে কিছু কিছু স্থানে হাঁটার পথ বন্ধ হয়ে আছে। উদ্যানে বেড়াতে আসা লোকজন রাস্তা ছেড়ে মাঠ দিয়ে চলাফেরা করছে।

উদ্যানে বেড়াতে আসা মিরপুরের শামিম হাসান বলেন, ‘এক মাস পরে উদ্যানে আসলাম। আমি পুরো থ। এত গাছ ভেঙেছে!’ তিনি বলেন, ভেঙে পড়া গাছ ও ডালপালা দ্রুত সরানো দরকার। কারণ, গাছগুলো এভাবে পড়ে থাকায় মানুষের হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছে।

ঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্যানের পশ্চিম পাশের গাছ। এ ছাড়া গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় লেকপাড়ে হাঁটার পথ অনেক জায়গায় বন্ধ হয়ে আছে।

মণিপুরিপাড়া ২ নম্বর গেট এলাকার বাসিন্দা সুলতানা চৌধুরী বলেন, ‘রোববার সকালে হাঁটতে এসে দেখি পুরো উদ্যান লন্ডভন্ড। গাছের কারণে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে।’

গতকাল দুপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের আরবরি কালচার উপবিভাগ সূত্র জানায়, কর্মকর্তারা গণভবন ও স্পিকারের বাসভবন এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ব্যস্ত।

উদ্যানের মাঠ পর্যবেক্ষণকারী আবদুল রহিম সরকার বলেন, শনিবারের ঝড়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের বাসভবন, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। ওই এলাকায় উপড়ে পড়া গাছগুলো প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করা হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে চন্দ্রিমা উদ্যানের ক্ষতিগ্রস্ত গাছ অপসারণ করে রাস্তা জনগণের চলাচলের উপযোগী করা হবে। তিনি জানান, প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন শ্রমিক গাছ অপসারণে কাজ করে যাচ্ছেন।

আবদুল রহিম সরকার জানান, আপাতত গাছগুলো কেটে বিভাগীয় কার্যালয়ে রাখা হচ্ছে। পরে দরপত্রের আহ্বানের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সেগুলো বিক্রি করা হবে।