১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প চান ম্যাশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবার সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। বিশ্বকাপ শুরু হতে সাত মাস বাকি থাকলেও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন প্রস্তুতি এখন থেকেই নেওয়া উচিত।

বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে কোনো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যায় কিনা বা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ক্যাম্প করার সুযোগ আছে কি না সেসব যাচাই করে এখনই পরিকল্পনা ঠিক করার কথা বললেন মাশরাফি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ঠিকানা গ্রুপ ১। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও থাকবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা দুই দল। গ্রুপ পর্বে মোট পাঁচ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিফাইনাল।

২০০৭ সালে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর গ্রুপ পর্বের লড়াই কখনো জিতেনি বাংলাদেশ। শেষ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও বাংলাদেশ প্রতিটি ম্যাচ হেরেছে। এবার ইতিহাস পাল্টে দেবে বাংলাদেশ এমনটাই বিশ্বাস করেন মাশরাফি। তার বিশ্বাসের ভিত্তি, দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স।

দেশে ও দেশের বাইরে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে লিটন, তাসকিন, মিরাজ, আফিফরা যেভাবে পারফর্ম করছে তাতে ভালো কিছুর আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন মাশরাফি। এই ফর্ম বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নিতে পারলে বড় কিছুর সম্ভবনা দেখছেন তিনি।

বুধবার (৬ এপ্রিল) মিরপুরে গণমাধ্যমে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড় বলতে যে চারজনকে বুঝায় সঙ্গে লিটন, তাসকিন, মিরাজরাও সিনিয়র। এরা যারা ৭-৮ বছর খেলছে, আমার মনে হয় তাদের এখন সময় পারফর্ম করার এবং তারা করছেও । এই পারফরম্যান্সটা যদি টেনে নিয়ে যেতে পারে, টেস্ট বলেন ওয়ানডে বলেন, পারফর্ম করলেই তো আত্মবিশ্বাস থাকে। এটা যদি বিশ্বকাপে টেনে নিতে পারে অবশ্যই আশা করি ভালো কিছু হবে।’

‘অস্ট্রেলিয়ায় হবে ফ্ল্যাট উইকেট। ওখানে প্রচুর রান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ঐ জায়গাগুলো আমাদের রান করতে হবে। আমার মনে হয় বড় রান ডিফেন্ড করার মতো বোলিং ইউনিট আমাদের আছে। খুব ভালো পেস বোলিং ইউনিট আছে। সাথে সাকিব, মিরাজ দারুণ বোলিং করছে। হয়তো টি-টোয়েন্টি মেহেদী (শেখ) খেলার সুযোগ বেশি। কিন্তু যেই খেলুক দুজনেই ভালো বোলিং করছে।’

‘মিরাজ, মেহেদী, সাকিব তো আউটস্ট্যান্ডিং। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার পেস বোলিং ইউনিটটা খুব সুন্দর। এখনো দেখেন সাইফ উদ্দিন দলের বাইরে। দারুণ বোলিং সেট আপ আছে আমাদের। ব্যাটিংটা যদি আমরা ভালো করি আমার মনে হয় খুব ভালো সুযোগ থাকবে। অন্যরা ১৮০-১৯০ করলে আমরা হয়তো বা ১৭০-১৭৫ করলেও আমাদের যে বোলিং ইউনিট আছে আমরা ভালো করতে পারবো। এটা আমি বিশ্বাস করি।’

‘এই মুহূর্তে পরিকল্পনা করার মতো খুব বেশি সময় নেই। এই সময় শুধু যে খেলা গুলো আছে আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলা, ভালো খেলা এ দিকেই মনযোগ দেওয়া উচিৎ। যত বেশি ম্যাচ জিতবে তত বেশি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এখন আলাদা করে কিছু অনুশীলন বাড়ানো ছাড়া টুর্নামেন্ট করার সুযোগ আমার মনে হয় না আছে। তবে বিশ্বকাপের আগে যদি ছোট খাটো কোনো টুর্নামেন্ট করা যায় তার থেকে সাহায্য পাবে। কিন্তু ভালো হয় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ওখানে ক্যাম্প করা। ওখানে যদি দুই-চারটা ম্যাচ খেলতে পারে। সেটা আমার কাছে মনে হয় আরও ভালো হবে।’

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে ১০ দিনের ক্যাম্প করেছিল। আইসিসির প্রস্তুতি ম্যাচ বাদেও বিসিবি নিজেদের খরচে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করেছিল স্থানীর দলের বিপক্ষে। এবারও বিসিবি একই পরিকল্পনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে।