২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মতিঝিল থানার একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এদিন ইশরাকের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৌহিদুর রহমান, মোসলে উদ্দিন জসিম ও আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আত্মসমর্পণ না করায় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। গত ২৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকার-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষে আসামিরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যায়।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান ভুইয়া।

এই মামলায় ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ইশরাক হোসেন ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন এবং স্থায়ী জামিন শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন। করোনার কারণে দীর্ঘদিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট চূড়ান্ত শুনানি দিন ধার্য করেন। ওই দিন চূড়ান্ত শুনানির সময় ইশরাক হোসেন আদালতে হাজির না হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গত ২ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।