২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পার্বত্য শান্তি চুক্তি ২৫ বছরেও বাস্তবায়িত করা হয়নি : সন্তু লারমা

নিজস্ব প্রতিবেদক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের শান্তি, হানাহানি, সংঘর্ষ, ঘুম, অত্যাচার হতে চির মুক্তির জন্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হলেও দীর্ঘ ২৫ বছরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত করা হয়নি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের মধ্যে ভ্রার্তত্ব গড়তে এবং পাহাড়ে জুম্ম জাতি গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও আজো দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। নানাবিধ প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের জুম্ম জাতিগোষ্ঠীকে অশান্তিতে জীবনযাত্রা অতিবাহিত করছেন ।

রবিবার (১০ এপ্রিল) রাঙামাটিতে আদিবাসী পাহাড়িদের জনগোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিহু, বিষু ও সংক্রান্ত উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

সন্তু লারমা আরো বলেন, পাহাড়ের বসবাসরত ১০ ভাষাভাষির জাতিগোষ্ঠির মানুষ রয়েছে। তাদের নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে জীবনযাপন করতে চায়। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্নবান জানান।

এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যথেষ্ট আগ্রহী। কেননা, চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পার্বত্য অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। তবে চুক্তি বাস্তবায়নে একমাত্র পন্থাই হচ্ছে উভয় পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে। সুতরাং সরকার তার গতিতে চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি একথা বলেন।

রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিহু, বিষু উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।

রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভসুচনা করা হয়। উদ্বোধনীর অনুষ্ঠান শেষে, চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তংচংঙ্গ্যা, পাংখোয়া ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠিসহ সকল সম্প্রদায়ের নারী পুরুষের অংশগ্রহণে পৌর প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার র‌্যালী। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে সম্পন্ন হয়।