মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলায় নাসির উদ্দিন ওরফে মানিকের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মোহাম্মদ মারুফ খান নামে আরেক আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। নাসির উদ্দিনের ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন এবং মারুফ খানকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত নাসির উদ্দিনের রিমান্ডের আদেশ এবং মারুফ খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শাহজাহানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শওকত আকবর এসব তথ্য জানান। গত ৭ এপ্রিল এ দুই আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ মামলায় গত ২৮ মার্চ শুটার মাসুম মোহাম্মদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ৫ এপ্রিল মাসুম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। ৯ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও আরফান উল্লাহ দামালকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনী কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :