২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাউফলে যুবলীগ নেতার মধ্যস্থতায় বাল্যবিয়ে

বাউফল প্রতিনিধি: , প্রকাশিত হয়েছে-

 

পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার মধ্যস্থতায় মধ্য বয়সি এক ব্যক্তির সাথে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীর বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মধ্যস্থতাকারী ওই যুবলীগ নেতার নাম মো. আবু বকর। রবিবার উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মান্তা পরিবারে এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কালাইয়া ইউয়িনের বগি-তুলাতলা খালে ভাসমান নৌকায় মান্তা সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। গত শনিবার রাতে ওই সম্প্রদায়ের মো. রশিদ সরদারের (৪০) ১৩ বছর বয়সি কিশোরী মেয়ে ও উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বজলু চৌকিদারের ছেলে কবির চৌকিদারের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন কিশোরীর মা। এঘটনা স্থানীয় ভাবে জানাজানি হলে আলোন সৃষ্টি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে পরদিন রবিবার ওই মেয়ের সাথে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে শাহীনের (৪০) সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। শাহীনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। শাহীন মাছ শিকার করার জন্য কয়েক মাস আগে লালমোহন থেকে এসে ওই মান্তা পরিবারের সাথে বসবাস করত। মেয়ের বয়স না হওয়ার পরেও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আবু বকরের মধ্যস্থতায় পাশ্ববর্তী দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আমতলা বাজারে মাওলানা খেজের আলম নামের এক কাজীর মাধ্যমে ওই বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে কাজী মাওলানা খেজের আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, বিয়ের জন্য আমার কাছে এসেছিল কিন্তু মেয়ের জন্মসনদ দিতে না পাড়ায় বিয়ে পড়ানো হয়নি।

বাল্যবিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে মেয়ের বাবা মো. রশিদ সরদার বলেন, আমার মেয়ের চেয়েও বয়সে ছোট অন্যান্য অনেক মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়ছে। আমিও দিয়েছি। এবিষয়ে বাল্যবিয়ের মধ্যস্থতাকারী যুবলীগ নেতা আবু বকরকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনা জানার পর মেয়ের বাবার সাথে কথা বলেছি। তারা বিয়ের কথা স্বীকার করছেন। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-আমিন জানান, বিষয়টি জানার পর তাদেরকে ভিন্ন বসবাস করার জন্য বলেছি। যদি কথা না শোনে তবে মামলা করে দেব।