দশমিনায় রাতের আধারে ঘরে আগুন ,জমি দখলের চেস্টা: আহত ৫ নারী


মোঃ বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৪, ২০২২, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
দশমিনায় রাতের আধারে ঘরে আগুন ,জমি দখলের চেস্টা: আহত ৫ নারী

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় রাতের আধাওে ঘরে আগুন দিয়ে জমি দখলের ঘটনা ঘটে।উপজেলার রনেগেপালদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের রামভাল্লক গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানযায় গত বুধবার বিকেলে ঐ গ্রামের হেলাল গংদের সাথে দীর্ঘ দিন জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিলো। ঐ বিরোধ সম্পত্তিতে লাইজু নিজ বসত ঘর নির্মান করে প্রায় তিন মাস বসবাস করে আসছে । বুধবার বিকেলে হেলাল গংরা ঐ বসত ঘর দখলের চেস্টা করলে ঐ ঘরে অবস্থানরত প্রতিবন্ধি মোঃসাইফুল কে সহ ৫জন জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সাইফুল সহ ৫জন দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঐ ঘটনায় লাইজু বাদি হয়ে সন্ধ্যায় দশমিনা থানায় ১৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে দশমিনা থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) মমিন ঘটনা স্থলে গিয়ে সকলকে স্থিথিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য বলে।

বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় বিরোধি সম্পত্তি দখল করার জন্য হেলাল গং ঘওে আগুন দেয় এবং ৫-৭ জন মহিলাকে বেধম মারধওে বলে জানাযায় । এ ঘটনায় মোসাঃ লাইজু ৯৯ ফোন করলে দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান,তৈছিফ এবং ঘটনা স্থলে ছুটে যায়।

লাইজু জানান, এ জমি আমার বাবা অনেক আগে নিলামে কিনেছিলো হেলাল গংরা সব জমি দখল কইরা আমাদের জমি দখল করা জন্য একের পর এক সন্ত্রাসী কার্য চালায়। বুধবার বিকেলে আমাকে সহ আমার প্রতিবন্ধি ভাইকে মারে। আমরা দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি হই । দশমিনা থানায় অভিযোগ দেই । পুলিশ গিয়া দেখছে থানায় আসতে বলছে । কিন্তু থানায় কেন গেলাম তার জন্য বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে জমি দখল করার জন্য হেলাল গংরা আমাদের বসত ঘরে আগুন দেয় এবং আমাদের মারধর করে। আমি ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চাইলে দশমিনা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এস আগুন নিয়ন্ত্রন করেন।

শাহানুর বলেন, আমার জমিতে আমি ঘর তুলে থাকছি রিপন, জাফর, খোকন,মুজা, কাউলা আমার ঘওে আগুন দেয় এবং আমাদেও মারধর করে।
জামাল মৃধার স্ত্রী বলেন, জমি আমাদের খোকন,মোহন,হেলাল, কবির, বারেক, মোসলেম দখল দেয়না। এরা আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে এবং আামদেও মারধর করছে।হেলাল, খোকন, রিপন কে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

সাইফুল বলেন আমি প্রতিবন্ধি সারাদিন বাসায় থাকি বুধবার বিকেলে বাসায় ছিলাম হেলাল, জাফর ,মোহন ঘর থেকে আমাকে বেরকরে পাক্কা মাইরা ফেলেদেয় এবং মারধর করে। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মারধর ও ঘরে আগুন দেয়ার বিষয় জানতে হেলাল, খোকন, রিপন কে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও চিকিৎসক ডা. হালিম বলে বুধবার রাতে প্রতিবন্ধি সাইফুল সহ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে । আজ(বৃহস্পতিবার) সাইফুলকে পটুয়াখালী রেফার করা হয়েছে।

দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই)মমিন বলেন, বুধবার বিকেলে অভিযোগ পাবার পর ঘটনা স্থলে গিয়া পরিবেশ শান্ত রাখার কথা বলে আসি। এবং উভয়কে কাগজ পত্র নিয়ে থানায় আসারজন্য বলি।

দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃমেহেদী হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় ৯৯৯ ফোন পাবার পর রামভাল্লক ঘটনা স্থলে রাত ২টায় গিয়ে দেখি আগুন জ¦লছে কোন লোক পাইনি, শাহানুরের ঘরের চালা,বেড়া,থালা সহ যাবতিয় মালামাল বিচ্ছিন্ন ভাবে পরে আছে। শাহানুর সহ ৪-৫ জন মহিলারা আমাদের দেখ বাড়ির মধ্য থেকে বের হয়ে কান্নকাটি করছে। তিনি আরো বলেন রাতে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০