লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দুই বছর পর ভারত, ভুটান ও নেপালে যাওয়ার একমাত্র পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত উভয় দেশের ২৫ জন যাত্রী পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ছিল ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত উভয় দেশের প্রায় ৬০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, ভুটান ও নেপালে গেছেন। পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই দেশের যাত্রী পারাপার করতে পারবেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে এ স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চৌকি (আইসিপি) দিয়ে ওপারের ভারতীয় চাংরাবান্ধা ভারতীয় অভিবাসন পুলিশের ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে। পাসপোর্টধারী এক যাত্রী বলেন, চিকিৎসককে দেখাতে ভারতে যাওয়ার জন্য অনেক দিন থেকেই চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভিসা বন্ধ থাকায় যেতে পারিনি। দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছি। চেকপোস্ট খুলে দেওয়ায় ভারতে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে পারব।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর ভ্রমণ ভিসাধারীদের এ পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রামের পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে প্রবেশে কষ্টকর ছিল। এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এ অভিবাসন চৌকি খুলে দেওয়ার খবর পেয়ে স্বস্তি মিলেছে ভ্রমণ ও ভারতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের। ফলে ভিসাধারীর যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়ায় এ স্থলবন্দরটির প্রাণচঞ্চলতা ফিরে পেয়েছে।