২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমতলীতে পুলিশের ঘর পেয়ে খুশি আলেনুর

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

নিজের একটি ঘর না থাকায়, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। বসবাসের জন্য ঘর পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি’ এমনটিই বলছিলেন আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণণগর গ্রামের আলেনুর বেগম নামের এক নারী। বরগুনা জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে মুজিববর্ষে একমাত্র সন্তান নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন হতদরিদ্র ওই নারী।

আমতলী থানা সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে বরগুনা জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে আমতলী থানায় গৃহহীন ও হতদরিদ্র ১টি পরিবারকে স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগসহ বসবাসের উপযোগী সব ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

ঘর পাওয়া আলেনুর বেগম বলেন, গত ১৭ বছর পূর্বে আমার সাথে স্বামী মিজানুর রহমান প্যাদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার স্বামী তার বড় ভাই ইউসুফ প্যাদার বাড়ীতে নিয়ে উঠায়। সেখানে বসবাসকালীন সময়েই আমার একমাত্র সন্তান সুমন প্যাদা (১২) জন্ম হয়। আমার সন্তানের বয়স যখন ৩ বছর তখন আমার স্বামী মিজানুর রহমান প্যাদা অন্য এক নারীকে বিয়ে করে বাড়ী থেকে চলে যায়। এরপর থেকে স্বামী আমাদের খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। এ সুযোগে আমার ভাসুর ইউসুফ প্যাদা (স্বামীর বড় ভাই) আমাকে সন্তানসহ বাড়ী থেকে বের করে দেয়। গত দুই বছর সন্তানকে নিয়ে পটুয়াখালী শহরে গিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে বস্তিতে ভাড়া বাসায় থেকে কোনো রকম জীবন যাপন করেছি।

তিনি আরো বলেন, এতদিন নিজের একটি ঘর না থাকায় মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, আমতলী পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে বসবাসের জন্য সুন্দর একটি ঘর উপহার দিছে। এতে আমি অনেক খুশি। যে পুলিশ বাহিনী আমাকে ঘর উপহার দিয়ে স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিছে তাদের জন্য সব সময় দোয়া করি।

কুকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার বলেন, আমার দেওয়া জমিতে অসহায় আলেনুরকে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে ।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, গত রবিবার (৩ এপ্রিল) বরগুনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গৃহহীন আলেনুর বেগমের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গৃহহীন আলেনুর তার সন্তানকে নিয়ে এখন ওই ঘরেই বসবাস করতেছেন। তিনি আরো বলেন, মুজিব বর্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে এ উপজেলায় একজন অসহায় মানুষের জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পেরেছি এটাই আমাদের বাহিণীর সার্থকতা।