কুয়াকাটায় পানি খেলায় মেতে উঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা


কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৬, ২০২২, ৯:০৯ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
কুয়াকাটায় পানি খেলায় মেতে উঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

নানা অনুষ্ঠানাদির মধ্যদিয়ে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজাতি রাখাইন সম্প্রদায়েদের সাংগ্রাই বা নববর্ষ উৎসব। শনিবার বিকালে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে রাখাইন মাঠে ঐতিহ্যগত পানি খেলায় মেতে উঠেন তরুণ-তরুণীরা। প্রতিযোগিতামুলক একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা ছিল তারা। একই সময়ে উৎসব মঞ্চে চলে রাখাইদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ ও গানের অনুষ্ঠান। এ উৎসব দেখতে রাখাইন পাড়ায় ভিড় করে পর্যটকসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, মহিপুর থানার ওসি মো.আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক ও অং হেলথ এন্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নিউ নিউ খেইন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, মহিপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এম মিজানুর রহমান বুলেট সহ রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।


স্থানীয় রাখানইদের সূত্রে জানা গেছে, এ উৎসবের আয়োজন করে অং হেলপ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। সকালে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধদেবের ¯œানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দূর-দূরান্ত থেকে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে থাকেন। করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর উৎসব করতে পারেনি তারা। তবে এবছর উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারগুলোর মাঝে বিরাজ করছে আন্দন মূখর পরিবেশ।

রাখাইন গৃহবধূ মোয়েমং বলেন, উৎসব উপলক্ষে ঘরে ঘরে রান্না করা হয়েছে শব্জি, মাংস, মাছ ও নানা স্বাধের তরকারি। এছাড়া তৈরি করা হয় হরেক রকম পিঠা। অপর এক রাখাইন গৃহবধূ ন্যানে বলেন, সাকালে পরিস্কার পোশাকে বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বুদ্ধদেবকে ¯œান করিয়েছি। এরপর এই গৃহবধূ জলকেলি উৎসবে অংশ নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক ও অং হেলথ এন্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট প্রসিডেন্ট নিউ নিউ খেইন জানান, বিগত দুই বছর আমরা এ উৎসব করতে পারিনি। সব দুঃখ দুর্দশা ভুলে নতুন করে পথ চলার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। জলকেলি মূলত এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০