২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গোমস্তাপুরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর রাস্তা দখলের অভিযোগ

মো. জুলকার নাইন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় এমন দখলের অভিযোগ উঠেছে। ফকিরপাড়া গ্রামের মানিরুল ইসলামের ছেলে হাসান আলীর .০৮ শতক রাস্তার জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আব্দুর রশীদের ছেলে পুলিশ সদস্য খালেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, আরএস খতিয়ানের হাল দাগ ৪৫৯১ এর বাড়ি ও রাস্তাসহ .০৮ শতক জমির ক্রয়সূত্রে মালিক হাসান আলী। ২০১১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী নিজ ফুফু পারভীনের কাছ থেকে আড়াই শতক জমিটি ক্রয় কয়েন হাসান আলী। বাড়ি থেকে সরকারি রাস্তায় যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করতে জমিটি ক্রয় করেন তিনি।

এবিষয়ে জমির মালিক হাসান আলী বলেন, ১২ বছর আগে দুই ফুফু ও আব্বার কাছ থেকে রাড়িসহ রাস্তার জমি কিনে নেয়। কিন্তু প্রতিবেশী মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে আব্দুল মাতিন ও তার জামাই পুলিশ সদস্য খালেদুল গত ১০ বছর থেকে রাস্তার জমি দখলের জন্য ঝামেলা শুরু করে। এমনকি আমার কেনা জমিতে রাস্তা থাকলেও তা দখল করে দরজা নির্মাণ করা শুরু করেন আব্দুল মাতিন। বাধা দিতে গেলে হাসুয়া, লাদনাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাডার বাহিনীসহ হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, শুধু দরজা নয়, আমার কেনা জমির উপর বাড়িয় প্রাচীর আমার জমির দিকে এগিয়ে আমার বাড়ির ছাদের কার্নিসের নিচ এমনভাবে দেয়ার নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ছোট রাস্তার অনেকাংশই ঘিরে গেছে। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্য খালেদুল ইসলাম আমার বাড়ির সামনে বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেছে। তবে এতে আমার কেনা জমি দিয়ে যে রাস্তা রয়েছে, তা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ সদস্য খালেদুল ইসলাম।

হাসান আলী জানান, ৬ মাস আগে আদালতে মামলা করেছি। তবে আদালতকেও অবমাননা করে উপস্থিত হয়না পুলিশ সদস্য খালেদুল ইসলাম।৷ সে বলে আমি পুলিশের সদস্য আমি কেন আইন মানব। আমি আদালতেও হাজিরা দিব না, রাস্তা দিব না। যা খুশি তোরা করে নে। সমাধানে না এসে লোকজন ও মাস্তান বাহিনী পাঠিয়ে আমাদেরকে নানারকম ভয়ভীতি দেখায়। পরে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত প্রায় ৬ মাস আগে গোমস্তাপুর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে গোমস্তাপুর থানা থেকে সদর থানার ফাঁড়িতে বদলি করা হয়।

হাসান আলীর স্ত্রী সুখী খাতুন বলেন, এখন খালেদুল বাড়ি করবে, তাই আমাদের কেনা জমির রাস্তা দখল করে নিচ্ছে। তার শশুর আব্দুল মতিন আমাদের জমি ঘিরে পায়খানার টাংকি ও দরজা করেছে। আমাদের দেয়াল ঘিষে খোলা পায়খানা করেছে। যাতে দুর্গন্ধের কারনে থাকা যায়না। শুনেছি, আমাদের রাস্তার জমি দখল করে ৪ তলা বাড়ি করবে। এর প্রতিবাদ করতে গেলেই তারা স্বামী-স্ত্রী দুইজনই মন্ত্রী-এসপির ভয় দেখায়। চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সদস্য খালেদুল ইসলাম জানান, তার কেনা জমির রাস্তা ছেড়েই আমি তাঁরবেড়া দিয়েছি। তাছাড়া তার জমি দখল করে নয়, বরং আমি আমার জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছি। আমাকে হয়রানি করতে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের এবং এসব অভিযোগ করছে।