২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গুলি-টিয়ারশেল: শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশ সদস্যদের গুলি করতেও দেখা যায়। গুলি করার পর পুলিশের সঙ্গে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল হাতে অবস্থান করা ব্যবসায়ীদের উল্লাস করতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নিউমার্কেট এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ ১টা ১৫ মিনিটের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষরত ব্যবসায়ীদের পুলিশের সঙ্গে ঢাকা কলেজের দিকে এগুতে দেখা যায়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ঢিলের বিপরীতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। টিয়ারশেল নিক্ষেপের সঙ্গে হই হই ধ্বনি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের।

টিয়ারশেল ও কাঁদানে গ্যাসে টিকতে না পেরে দৌড়ে সরে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ প্রতিবেদন লেখার সময় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। তখন থেমে থেমে গলি ও বিভিন্ন আবাসিক, একাডেমিক ও মার্কেটের ভবন থেকে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ব্যবসায়ী সমিতি কামরাঙ্গীরচর থেকে আনা টোকাইদের দিয়ে হামলা করাচ্ছে। শিক্ষকরা সমঝোতার জন্য গেলেও হামলা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে।

সোমবার রাতের সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকে নিউ মার্কেট এলাকা ও নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সাইন্স ল্যাবরেটরি থেকে আজিমপুর পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চলতে থাকে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এ ঘটনা শুরুতেই শেষ হয়ে যেত যদি পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা মিলে হামলা-গুলি না ছুড়ে সমঝোতায় আসতেন।

সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ‘কথা-কাটাকাটির জেরে’ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।