২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফের নিউমার্কেটে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

মধ্যরাতে দীর্ঘ সময় দফা দফায় সংঘর্ষের পর সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে নিউ মার্কেটের দোকান মালিক-কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।

গাউছিয়া মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা। অন্যদিকে ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে নূরজাহান মার্কেটের সামনে পর্যন্ত স্থানে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলে থেকে ককটেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠি, রড হাতে সড়কে নেমে এসে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় ব্যবসায়ীরাও বেরিয়ে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তারা গতকাল রাতের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করতে বের হয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় ঘুরে আসার পথে ব্যবসায়ীরা তাদের উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এরফলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক অপারেশনস হালদার অজিত ঠাকুর বলেছেন, ‘নিউ মার্কেটসহ আশেপাশের এলাকার সকল দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান করছে। দোকান কর্মচারীরাও বিচ্ছিন্নভাবে আছে। পরিস্থিস্তি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

এর আগে রাতের সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকেই সায়েন্সল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর ফলে সায়েন্সল্যাব, আজিমপুর ও মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধের এক পর্যায়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

সোমবার রাতে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুই পক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন।

তবে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ- এমন অভিযোগ করে কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হলের ছাদে ও তেলের পাম্প এলাকায় অবস্থান নেন। ফলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

তবে রাত ৩টার পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে গেছেন। ব্যবসায়ীদেরও কোথাও জড়ো হতে দেখা যায়নি। এতে পুরো এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওই এলাকার সব সড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়ে গেছে।