১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমতলীতে স্কুল ছাত্রীকে হোটেল কক্ষে ধর্ষণ, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ!

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

বরগুনার আমতলীতে বিয়েতে রাজি না হলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেল কক্ষে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় দুই যুবক। এমন অভিযোগে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে অপহৃত ভিকটিম ছাত্রীর বাবা।

সোমবার সকালে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মোঃ হাফিজুর রহমান আমতলী থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীরা হল আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের আবদুল মন্নানের ছেলে রাসেল ও রাসেলের বন্ধু রাকিব।

জানা গেছে, বাদীর মেয়ে ভিকটিম (১৩) আমতলীর স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। অভিযুক্ত রাসেল পথেঘাটে ও স্কুলে আসা যাওয়ার সময় বাদীর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে। বাদী প্রতিবাদ করলে রাসেল ও তার বন্ধু রাকিব বাদীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

ঘটনার দিন (৬ এপ্রিল) সকালে বাদীর মেয়ে স্কুলে যাবার পথে বাড়ীর সামনে রাস্তার গেলে পূর্বে থেকে সেখানে ওৎ পেতে থাকা রাসেল ও তার বন্ধু রাকিব বাদীর মেয়েকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে রাসেল জোর পূর্বক ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। আর সহযোগী বন্ধু রাকিব বাহিরে বসে পাহারা দিতে থাকে। ধর্ষণ শেষে ভিকটিমকে ওই হোটেলে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম স্থাণীয়দের সহায়তায় পরিবারকে খবর দেয়। তারা গিয়ে ঘটনাস্থলে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

মামলার বাদী জানান, আমার মেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমাকে খবর দেয়। আমি আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসি। এরপর মেয়েকে সুস্থ্য করে ১২ এপ্রিল আমতলী থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলা না নিয়ে ঘুরাইতে থাকে। পরে আমি বাধ্যহয়ে আদালতে মামলা করেছি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএ মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমতলী থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হতো। তিনি আরো বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি।