গলাচিপায় সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি অসহায় ফিরোজার


সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০২২, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ / Print This Post Print This Post
গলাচিপায় সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি অসহায় ফিরোজার

 

 

পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি জানিয়েছে অসহায় ফিরোজা বেগম। ফিরোজা বেগম (৬১) হচ্ছেন উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জবি প্যাদা বাড়ির হানিফ প্যাদার স্ত্রী।

বর্তমানে পরিবারটি অসহায় জীবনযাপন করছে। স্বামীর ঝুপড়ি ঘরে থেকে চলছে তাদের বসবাস। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। ফিরোজা বেগমের স্বামী একজন দিনমজুর। মানুষের সাথে যখন যে কাজ পান তাই করে সংসার চালান তিনি। ফিরোজা বেগমের শ^শুরের দেয়া ২ শতক জমির উপর একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছে অসহায় দরিদ্র পরিবারটি। ফিরোজা বেগম
জানান, আমার স্বামী একজন দিন মজুর। মানুষের সাথে কাজ করে যে আয় করেন তাতে আমাদের সংসার চলে না। আমাদের ঝুপড়ি ঘরটিতে বৃষ্টির সময় পানিতে তলিয়ে যায়। ঘর উঠানোর সামর্থ্য আমাদের নাই।

নুন আনতে পানতা ফুরায় আমাদের। সরকারি একটি ঘর পেলে আমরা বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে সুখে থাকতে পারতাম। জানি না সরকারি ঘর আমাদের কপালে আছে কিনা। ফিরোজা বেগমের স্বামী হানিফ প্যাদা জানান, আমার জন্মের পরেই দারিদ্রতা আমাদের নিত্য সঙ্গী। মানুষের সাথে কাজ করে আর কি আয় করা যায়। আমার দুই শতাংশ জায়গা থাকলেও টাকার অভাবে তাতে ঘর তোলা হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে পুরনো ঝুপড়ি ঘরেই থাকি। শীতে যেমন কষ্ট করি, বৃষ্টি এলেও কষ্ট করতে হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘর পেলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম।

আমাদেরকে সরকারীভাবে একটি ঘর দিলে আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতাম। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ওয়ার্ডে ওরা খুব অসহায় পরিবার। বাপ-দাদার দুই শতক জমি আছে। টাকা না থাকায় সেখানে কোন ঘর তুলতে পারে নাই। তাদের একটি ঘর খুব প্রয়োজন। গলাচিপা সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু বলেন, ফিরোজা বেগমের পরিবার একটি অসহায়। তার স্বামী অন্য মানুষের সাথে কাজ করে জীবিকা নির্বাকরছে। সরকারীভাবে ফিরোজা বেগমের একটি ঘর খুব দরকার।

 

 

 


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০