বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে অসাহায় এক পিতা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আজ দুপুরে আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবের হল রুমে পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে ইলিয়াস সরদার জানান উপজেলার মানষী ফুল্লশ্রী গ্রামের সুনীল চন্দ্র চৌধুরীর ছোট মেয়ে ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলির সাথে ১৫ বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ধর্মীয় ও আইনি প্রকৃয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধর্মান্তরীত হয়ে তার নাম পরিবর্তন করে দোলা খানম রাখা হয়।২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা। ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা’র জন্মের পর ১০ বছর পর্যন্ত আমার কাছে থেকেই লেখাপড়া করে।দীর্ঘদিন সংসার করার পরে গত ৩ জুন ২০১৭ সালে সামান্য ঝগড়া-ঝাটির কারনে আমার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলি ওরোফে দোলা খানম আমার একমাত্র কন্যা ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলাকে নিয়া আমাকে কিছু না বলিয়া তার বাবা সুনীল চন্দ্র চৌধুরী, মাতা ঊষা চৌধুরী, ভাই অশোক চেীধুরী, বোন রিণা চেীধুরী ও বোন জামাই ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা’র কু-পরামর্শে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।
থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুজির প্রায় ৫ বছর পর আমার বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি আমার স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা সন্তান তার (ডলি ওরোফে দোলার) বোন জামাই ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা’র ফরিদপুরের বাসায় অবস্থান করিতেছেএবং আমার একমাত্র কন্যা ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা’র নাম পরিবর্তন করে নতুন করে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে।ওই ভুয়া জন্ম নিবন্ধনে আমার মেয়ের নাম পরিবর্তন করে ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা’র স্থলে ঐশ্বিকা চেীধুরী এবং বাবার নাম পরিবর্তন করে মোঃ ইলিয়াস সরদারের স্থলে অমিত চৌধুরী দেয়া হয়।নাম পরিবর্তনের পরে আমার মেয়েকে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলে ভর্তি করে এবং আমার স্ত্রী ওই একই স্কুলে শিক্ষকতা করছে।বর্তমানে ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে তার মেয়ে ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা’র সঠিক পিতৃ পরিচয় যাতে জনসম্মূখে অন্মুক্ত হয় তার সহযোগীতার দাবী জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার হারুন রান,সাধারন সম্পাদক তপন বসু,বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি এফ এম নাজমুল রিপনসহ অন্যনরা।
আপনার মতামত লিখুন :