১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আদালতের নির্দেশে বসতবাড়ী উচ্ছেদ

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

বরগুনার আমতলী পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের মিঠা বাজার ওয়াবদা সড়কের রূপাই দাশ ও সঞ্জিব দাশের বসতবাড়ি বরগুনা সিনিয়র সহকারী জেলা জজ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বসতবাড়ী উচ্ছেদের পরে জমি সরকারী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আদালত পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই জমি সরকারী নিয়ন্ত্রনে থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের মিঠা বাজার সংলগ্ন ওয়াবদা সড়কের ৫ শতাংশ জমিতে রূপাই দাশ ও সঞ্জিব দাশ বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। ওই জমি একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান তার দাবী করে রূপাই দাশ ও সঞ্জিব দাশকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্ত তারা জমি ছেড়ে না দেওয়ায় মজিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৪ বছর শেষে এ বছর বাদীর পক্ষে রায় দেয় বিজ্ঞ আদালত।

গত ১৮ এপ্রিল আদালতের ওই আদেশের প্রেক্ষিতে বরগুনা সহকারী জেলা জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম বসতবাড়ী উচ্ছেদ করে জমি সরকারী হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মতে জেলা নাজির মোঃ ফারুক আহম্মেদ আজ শনিবার দুুপুরে রূপাই দাশ ও সঞ্জিব দাশের বসতবাড়ী উচ্ছেদ করে জমি সরকারী হেফাজতে নিয়ে নেয়।

রূপাই দাশ বলেন, আদালত থেকে বসতবাড়ী উচ্ছেদের কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। বিনা নোটিশ আমাদের বসতবাড়ী ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি এখন পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি।

মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমার জমি আদালত আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

বরগুনা জেলা আদালতের নাজির মোঃ ফারুক আহম্মেদ বলেন, আদালতের নির্দেশ মতে বসতবাড়ী উচ্ছেদ করে জমি সরকারী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আদালতের পরবর্তি আদেশ ছাড়া ওই জমি সরকারী হেফাজতে থাকবে।