বনবিভাগের গাছ আত্মসাতের অভিযোগ জিম্মাদারের বিরুদ্ধে


পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৩, ২০২২, ৫:০১ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
বনবিভাগের গাছ আত্মসাতের অভিযোগ জিম্মাদারের বিরুদ্ধে

 

সাগরে ভেসে আসা বিশাল আকৃতির একটি গাছ আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার গঙ্গামতি এলাকার সেলিম গাজীর বিরুদ্বে। সাগরে ভেসে আসা জেলের জালে আটকা পড়া ওই গাছটি স্থানীয় এক জেলের কাছ থেকে সোমবার জব্দ করেছে বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ। এদিকে গাছটি আতœসাতের এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংশ্লিস্ট জেলেসহ স্থানীয়রা।

জেলার কলাপাড়ার ধুলাসর ইউনিয়নের গঙ্গামিত এলাকার জেলে রশিদ ফরাজী জানান, সোমবার (১৮ এপ্রিল) গঙ্গামতি সৈকত থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার গভীর সাগরে মাছ শিকারের সময় তার জালে আটকা পড়ে একটি বিশাল আকৃতির একটি গাছ। প্রথমে ভয় পেলেও কিছু সময় পর বুঝতে পারেন ওটি একটি বিশাল আকৃতির গাছ। পরে ছোট ট্রলার নৌকায় বেঁধে গাছটিকে উপকূলে এনে স্থানীয়দের সহায়তায় গাছটিকে পাড়ে তুলে আনেন।

জেলে রশিদসহ স্থানীয়রা জানান, ৩৪ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট প্রস্থের গাছটি অন্তত: ৫ থেকে ৭ বছর নোনা পানিতে ভেসে থাকার কারন শ্যাওলাসহ নোনা ধরে গেছে। স্থানীয়দের ধারনা এটি আর্জুন গাছ। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে বনবিভাগ গাছটিকে গর্জন হিসাবে সনাক্ত করেছে। সংবাদ পেয়ে মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এসে গাছটিকে জব্দ করে একই এলাকার রত্তন গাজীর পুত্র সেলিম গাজীর কাছে জিম্মায় রাখেন। এসময় ছেড়া জালসহ গাছটি টেনে আনার ক্ষতিপুরন বাবদ রশিদ গাজীকে ৮ হাজার টাকা প্রদান করে সেলিম গাজী। জিম্মাদার সেলিম গাজী আতœসাতের উদ্দ্যেশে গাছটিকে ধুলাসর ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকার দুলালের স্ব-মিলে নিয়ে চেরাই (কাটা হয়েছে) করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিম্মাদার সেলিম গাজী বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে দুলালের স্ব-মিলে গাছটি রাখা হয়েছে। গাছটি কেন কেটে টুকরো করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সুইজড অফ করে রাখেন।

বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে যথাযথ নিয়মে গঙ্গামতি এলাকার সেলিম গাজীর কাছে গাছটি জিম্মায় রাখা হয়েছে। অসৎ উদ্দ্যেশে জিম্মার গাছ কেটে থাকলে সেলিম গাজীর বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০