১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চিহ্নিত রাজাকারের সন্তানরা ও ভাই বিষ দিয়ে মাছ মেরেছে বীর মুক্তিযোদ্ধার পুকুরের

হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে পুকুরে বিষ ঢেলে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ীর পুকুরে চাষকৃত মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী চিহ্নিত রাজাকারের ভাই ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মারা হয় বলে অভিযোগ ওই মুক্তিযোদ্ধার। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার পুত্র মোঃ কামরুজ্জামান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম মোঃ আজাহার আলী। তিনি উপজেলার কাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র মোঃ কামরুজ্জামানের ভাষ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী পিস কমিটির অন্যতম সদস্য তালিকাভূক্ত রাজাকার মৃত্যু কারী মোঃ আমজাদ হোসেন শিকদারের পুত্র হাবিব উল্লাহ, অলি উল্লাহ, আতিক উল্লাহ ও তার ছোট ভাই প্রতিবেশী আঃ মন্নান শিকদারের সাথে ৩১ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা মোকদ্দমাও চলমান রয়েছে। সম্প্রতি ওই বিরোধীয় জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা ও আদালতের রায়ের আলোকে উভয় পক্ষের শালিশগন ওই মুক্তিযোদ্ধাকে জমি ভোগদখলে বুঝিয়ে দেয়। এটা মেনে নিতে পারেনি প্রতিবেশী ওই রাজাকার পরিবার।

শনিবার গভীর রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা গোপনে তাদের বসত বাড়ীর পুকুরে বিষ ঢেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো মেরে ফেলছে। সকালে বাড়ীর লোকজন পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখে পুলিশকে জানায়।

মোঃ কামরুজ্জামানের তথ্যমতে, জমিজমা নিয়ে রাজাকার পুত্র হাবিব উল্লাহ, অলি উল্লাহ, আতিক উল্লাহ ও তাদের চাচা আঃ মন্নান শিকদারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে বিধায় এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন। তাঁর দাবি, পুকুরে বিষ দেওয়ার কারণে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মাছ মরে গেছে।

পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ মারার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন রাজাকার পুত্র হাবিব উল্লাহ, অলি উল্লাহ, আতিক উল্লাহ, চাচা আঃ মন্নান শিকদার ও তার পুত্র আঃ মতিন শিকদার।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষ ঢেলে পুকুরের মাছ মেরে ফেলায় ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।