২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মুগ্ধ ইরানি নির্মাতা জয়া আহসানে

বিনোদন ডেস্ক , প্রকাশিত হয়েছে-

 

অভিভূত দুই বাংলার দর্শক জয়া আহসানের অভিনয়ে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে অভিনয়ের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন তিনি। এবার যুক্ত হয়েছেন ইরানি সিনেমায়। সিনেমাটির নাম ‘ফেরেশতে’। নির্মাণ করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম।

এ বিষয়ে শনিবার (২৩ এপ্রিল) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুর্তজা অতাশ জমজম। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির অন্যান্য অভিনয় শিল্পীরাও।

সংবাদ সম্মেলনে জয়াকে নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। তাকে ইরানি সুপারস্টারের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘জয়া আহসানের সঙ্গে কাজ করে মনে হয়েছে ইরানের কোনও সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করছি। তাদের চেয়ে উনার দক্ষতা কোনও অংশে কম নয়, অনেক ক্ষেত্রেই জয়া আরও অনবদ্য। তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। প্রতিটি দৃশ্য তিনি নিখুঁতভাবে অভিনয় করেছেন, দারুণভাবে সবকিছু সামলে নিয়েছেন। এককথায় আমি মুগ্ধ।’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘শুধু নিজের কাজটাই নয়, সহশিল্পীদের সেরাটা বের করে আনতে জয়ার যে সহযোগিতা তা অসাধারণ।’

অনুষ্ঠানে নিজের মাতৃভাষা ফার্সিতে কথা বলেন মর্তুজা। তার কথা বাংলায় অনুবাদ করে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মুমিত আল রশিদ।

এই সম্মেলনে সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন জয়া আহসান। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন কলকাতায় ছিলাম। হাতে কয়েকটা সিনেমার কাজ ছিল। সেগুলো সেরেই ঢাকায় এসেছি। এসে আবার এই সিনেমার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। ব্যস্ততার কারণে চলচ্চিত্রটি সম্বন্ধে সবাইকে কিছু জানাতে পারিনি। ২৫ দিন হলো আমরা শ্যুটিং করছি। মুর্তজা অতাশ জমজমের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে।’

তবে সিনেমাটির গল্প সম্পর্কে কিছু বলেননি জয়া। খোলাসা করেননি তার চরিত্র সম্পর্কে। শুধু জানিয়েছেন তার অভিনীত চরিত্রটি সমাজের খুবই পরিচিত। চরিত্রটিকে আপন করে নিতে একটুও বেগ পেতে হবে না দর্শকের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজার ও রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন লোকেশনে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। এতে আরও অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুমন ফারুক প্রমুখ। ‘ফেরেশতে’ নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায়। সিনেমাটির দৃশ্যধারণ করা হচ্ছে বাংলা ভাষায়। পরে ইরানি ভাষায় ডাবিং করা হবে সিনেমাটি।