মুম্বাইয়ের টানা অষ্টম হার


ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২২, ৯:১০ পূর্বাহ্ণ / Print This Post Print This Post
মুম্বাইয়ের টানা অষ্টম হার

 

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন দলটি এবারের আসরে একটি জয়ের জন্য মাথা কুটে মরছে। রোববার রাতে তারা হেরেছে টানা অষ্টম ম্যাচে।

রোববার নিজেদের অষ্টম ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৩৬ রানে হেরে গেছে রোহিতের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে রাহুলের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬উইকেটের বিনিময়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে লখনৌ । জবাবে জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩২ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।

গতকাল রেকর্ডের পাতায় নাম লিখেয়েছেন লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৬২ বলে ৪ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন রাহুল । যা মুম্বাইয়ের বিপক্ষে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে কোনো একটি দলের বিপক্ষে রাহুলের এই সেঞ্চুরির কীর্তি নেই আর কারও।

প্রথম জয়ের খোঁজে জায়েন্টসের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত শর্মা। পাওয়ার প্লেতে প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টন ডি কক ফিরে গেলেও লোকেশ রাহুলের এবারের আসরের দ্বিতীয় শতকের ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় নবাগত দলটি।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ডি কক ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন অধিনায়ক রাহুল ও মনিশ পান্ডে। ১২ তম ওভারে কাইরন পোলার্ডের বলে পান্ডে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।

মাঝ পথে পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল সুপার জায়েন্টস। দলীয় ১০৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে গেছেন অধিনায়ক রাহুল।

শেষ দিকে এই ডানহাতি ব্যাটারের অপরাজিত ৬২ বলে ১০৩ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৬৮ রানের পুঁজি পায় সুপার জায়েন্টস। এবারের আসরে এই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষেই পেয়েছিলেন নিজের প্রথম শতক। গতকাল একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পেয়েছেন টুর্নামেন্টে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় শতক। আইপিএলে এটি রাহুলের চতুর্থ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে ৮ রানে ২ উইকেট নেন পোলার্ড।

টানা ৭ ম্যাচ হারার লজ্জার রেকর্ড ভেঙে অষ্টম ম্যাচে এই আসরের প্রথম জয় পেতে রোহিত শর্মার দলের সামনে আসে ১৬৯ রানের লক্ষ্য। নিজেদের ডেরা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জবাব দিতে নেমে শুরুটা শুরুটা খারাপ ছিল না মুম্বাইয়ের। যদিও লখনৌয়ের মতো তারাও প্রথম থেকে ধীরগতিতে রান তুলতে শুরু করে। বিশেষ করে বোলারদের খেলতে বেগ পেতে হচ্ছিল ইশান কিষানের। তবে রোহিত রানের চাকা সচল রাখেন।

উদ্বোধনী জুটিতে ৪৯ রান আসার পর প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। তখন থেকেই মূলত ভেঙে পড়ে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং লাইন আপও ।অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে রবি বিষ্ণুইয়ের বলে চালাতে গিয়েছিলেন কিষান। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার ডি ককের বুটের গোড়ায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপ যায়। সেখানে ক্যাচ নেন জেসন হোল্ডার।

ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩) এবং সূর্যকুমার যাদবও (৭) এ দিন সুবিধা করতে পারেননি। রোহিত অনেকদিন পর রানের দেখা যাওয়া শুরু করলেও ফিরে যান ৩৯ রানে। বিনা উইকেটে ৪৯ রান থেকে ৬৭ পর্যন্ত যেতে ৪ উইকেট হারায় মুম্বাই।

পরে মুম্বাইয়ের হয়ে আশা জাগিয়েছিলেন তিলক ভার্মা ও কাইরন পোলার্ড। তাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৩৯ বলে ৫৭ রান। তবে পোলার্ড ছিলেন একদম নিষ্প্রভ। জুটিতে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের রান ১৭ বলে ১৭।

মনে হচ্ছিল দলকে তারা জিতিয়েই ছাড়বেন। কিন্তু দলীয় ১২৪ রানের মাথায় জেসন হোল্ডারের বলে ভার্মা আউট হলে আর কেউই তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি ব্যাটে। দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিলক।

লখনৌয়ের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। মাত্র ১৯ রান দিয়ে উইকেট নেন তিনটি। তবে উইকেট না পেলেও অসাধারণ বোলিং করেন শ্রীলঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন তিনি।


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০