২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কুয়াকাটা শূন্য সৈকত পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত সংকট কাটবে ব্যবসায়ীদের

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , প্রকাশিত হয়েছে-

ঈদের ছুটি আনন্দ উপভোগ করতে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটায় পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠছে। গত দুই বছর করোনার কারনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত কুয়াকাটার নৈসর্গিক শোভার প্রাণবন্ত ছোয়া পায়নী পর্যটকরা। তাই এবারে ভ্রমণ পিপাসু হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছেন। গত ২০১৯ সালে মহামারী করোনার কারণে মার্চের শুরু থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা একেবারই শূন্যেও কোঠায় ছিল।

করোনার কারণে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেতে এবং সরকারী ছুটি একটু বেশি হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন ঘটেছে বলে মনে করছে টুরিষ্ট পুলিশসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুরো সৈকতজুড়ে পর্যটকদের পদচারণা রয়েছে। এছাড়াও কুয়াকাটার আশেপাশে দর্শনীয় স্থানেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত অবলোকনের পর পর্যটকরা ছুটে যান রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লিতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। রাখাইন মহিলা মার্কেট, মিশ্রিপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৈীদ্ধ বিহার । ইকোপার্ক , লেম্বুরচর, শুটকিপল্লি, ইলিশপার্ক সহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থান।

পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনে প্রস্তুত ছিল নৌতরি। কেউ বিচে ছাতার নিচে বসে সাগরের জল আর সূর্য রশ্নির রঙ্গিন খেলায় মেতে উঠা অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করে। ৩০ কিঃমিঃ দীর্ঘ সৈকতের গাঁ ঘেষে গঙ্গামতির সংরক্ষিত বনাঞ্চল, দক্ষিনে দৃষ্টিসীমা যতদুর যায় শুধু নীল সাগরের জলরাশি অন্যদিকে দিগন্তজুড়ে লালিমা আকাশের গায়ে আবির মাখানো দৃশ্য পর্যটকদের অন্তরাতœাকে প্লাবিত করে দিচ্ছে। মোবাইল ফোনে সেলফি, ঘোড়ার পিঠে চড়া, গান গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে আগত পর্যটরা। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা মোঃ নজরুল ইসলাম (৩০)বলেন, একই স্থানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটায় যা সত্যিই উপভোগ্য।

খুলনা থেকে আগত আ: রাজ্জাক বলেন, সৈকতটি নোংরা। এটাকে আরো পরিস্কার করে তুলতে পারলে পর্যটক হিসেবে আমার অনেক ভালো লাগত।

আবাসিক হোটেল ওসানভিউ’র অপারেশন ম্যানেজার আলআমিন খান উজ্জল বলেন, আমাদের হোটেলের সবগুলো রুম বুকিং আছে। কনফিডেন্স টুরিষ্ট সেন্টারের অপারেটর মোঃ সবুজ মৃধা বলেন, কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা আমাদের কাছে বিভিন্ন স্পর্টের তথ্য জেনে নেয় ।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী মোতালেব শরীফ বলেন, গত এক সপ্তাহ আগ থেকেই পর্যটকরা হোটেল বুকিং সম্পন্ন করেছে। কুয়াকাটার হোটেল মোটেল গুলো সম্পুর্ন রিজার্ভ হয়ে গেছে। স্বাস্থবিধি মেনেই আমরা পর্যটক রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার , মো. আবদুল খালেক বলেন, আমরা সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছি। এছাড়াও কুয়াকাটার বিভিন্ন র্স্পটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।