২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ট্রেনে ভোগান্তি নিয়ে ফিরছে মানুষ

বার্তা বিভাগ , প্রকাশিত হয়েছে-

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে অবশেষে আজ ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। ঈদের আনন্দময় স্মৃতি নিয়ে বাধ্য হয়ে কাজের টানে ঢাকায় ফিরছেন তারা। ভোর থেকে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনে করে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ চোখে পড়ার মতো। তবে ঢাকায় আসতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর রেল স্টেশনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনো পর্যন্ত ১৫টি ট্রেন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেছে। প্রতিটি ট্রেনেই ছিল যাত্রীদের চোখে পড়ার মতো ভিড়। এই ভিড়কে সঙ্গী করেই জীবিকার প্রয়োজনে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই ফিরছেন রাজধানীতে।

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে আসা পপি নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় ট্রেনে যেতে যে ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল, ফিরতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পথে নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ট্রেনে যাত্রীদের অনেক চাপ ছিল। অনেকে টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে এসেছে। গরমে হাঁসফাঁস করার মতো অবস্থা। ট্রেনের আসন সংখ্যার তুলনায় দাঁড়ানো যাত্রী বেশি থাকার ফলে আসনে বসা যাত্রীদের কষ্ট হয়েছে বেশি। সিট ছেড়ে নড়ারও অবস্থা ছিল না।’

সিলেটের যাত্রী বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রুপকথা হাসান বলেন, ‘আজ ব্যাংকে কাজে যোগ দিতে হবে বলেই ফেরা। ঈদের আ‌গে যেতে যেমন কষ্ট হয়েছে, ফেরার সময়ও একই অবস্থা। নারী যাত্রী হিসেবে একটু নির্বিঘ্নে যাত্রা করার জন্য ট্রেনকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীসহ পথে বিভিন্ন দুর্ভোগের পর অবশেষে ঢাকায় পৌঁছলাম। প্রতিটা স্টেশনেই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিক্ষণ বিরতি ছিল, ফলে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে ঢাকায় এসেছি। এই গরমে ট্রেনের ভেতরে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে নারী ও শিশুদের।’

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সকাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি আন্তঃনগর ও কমিউটার ট্রেন কমলাপুর এসেছে। সারাদেশ থেকে ঈদের স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রী নিয়ে আজ ঢাকায় আসবে। অনেক ট্রেনই সময় মতো আসতে পারেনি। এতে কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।’

দাঁড়ানো যাত্রীদের কারণে সিটে বসা যাত্রীদের সমস্যা হওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক যাত্রীর ফেরার তাড়া ছিল, কিন্তু তারা টিকিট আগে না কাটার জন্য দাঁড়িয়ে এসেছেন। এতে অন্য যাত্রীদের সমস্যা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও যাত্রীদের সেবা দিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারিনি।’ তবে সব যাত্রী যদি ফেরার টিকিট আগাম কেটে নিতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ পালন শেষে ট্রেনের পাশাপাশি সড়ক এবং নৌপথেও কর্মস্থলে ফিরছে লাখো মানুষ। বৃহস্পতি, শুক্রবার এবং শনিবারে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া প্রায় এক কোটি মানুষ ফিরে আসার পর রোববার থেকে আগের রূপে ফিরে আস‌বে রাজধানী।