১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দশমিনায় এম্বুলেন্সএ স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামী উধাও

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট থেকে এক এক গৃহবধূর লাশ এম্বুলেন্সএ রেখে স্বামী পালানোর ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জান যায়, শুক্রবার ভোরে রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চ ঘাট এলাকায় ঢাকা নারায়গঞ্জ থেকে আসা একটি এম্বুলেন্স(ঢাকা মেট্রো ৭৪-০১৭১) ডিসি সড়কে দাড়িয়ে আছে। পরে স্থানীয় লোক জন এম্বুলেন্স ড্রাইভারকে জিঞ্জসা করলে বলে এর মধ্যে লাশ আছে। কার লাশ কোথায় যাবে কে আনছে তা জিঞ্জাসা করলে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় স্থানীয় লোক জন দশমিনা থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ও এম্বুলেন্স এর ড্রাইভারকে আটক ও এম্বুলেন্স জব্দ করে।

উদ্ধার গ্রহবধূ উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের ফেরকান গাজীর মেয়ে আনাœ(২২)

মোঃ ফেরকার গাজী বলেন, আমার মেয়ে ঢাকায় একটি গারর্মেন্সে চাকুরি করেন । গত ২ বছর আগে আমার মেয়ের (আন্না) সাথে বিবাহ হয় । ছেলের নাম নিরব ঢাকার নারায়ঞ্জ থাকে। গত রাতে( বৃহস্পতিবার) নিরব আমাকে ফোন করে জানান আপানার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। নারায়গঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে দশমিনার উদ্দেশ্যে আসতেছি এর বিেশ কিছু জানায়নি।

এম্বুলেন্স ড্রাইভার আসরাফ বিন বলেন, আমাকে মোঃনিরব ঢাকার নারায়গঞ্জ থেকে দশমিনার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে । নারায়গঞ্জ জেরারেল হাসপাতাল থেকে লাশ নামিয়ে গাড়ীতে তুলে রওয়া দেই সকাল ৪ টায়(শুক্রবার) উপজেলার আউলিয়াপুর লঞ্চ ঘাট আসলে নিরব বলে চলে এসেছি, ট্র্যলার আসতেছে আপনি গাড়িতে বসেন। আমি ওয়াশ রুম থেকে আসি। তার পর কিছু সময় পর নিরবকে ফোন দিলে বন্ধ বলে। নিরব আসেনি সকাল হয়ে গেছে লাশ গাড়িতে রেখে আমি কোথাও যাইনি।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সকাল ৫ টায় লোক জনের খাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরাতহাল করা হয় । ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনালে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এম্বুলেন্স জব্দ ও ড্রাইভারকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।