২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

শরণখোলার লোকালয়ে ফের বাঘের হানা: মানুষ আতংকে বন বিভাগের সতর্ক প্রচারণা

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি , প্রকাশিত হয়েছে-

 

সুন্দরবন থেকে আসা রয়েল বেঙ্গলটি শরণখোলার লোকালয়ের আরো ভেতরে ঢুকে পড়েছে। শুক্রবার রাতে পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের মানুষ বাঘ আতংকে বিনিদ্র রাত যাপন করেছে। বনবিভাগ মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করছে।

শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের কামাল হোসেন হাওলাদার জানান, তিনি শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মাঠে গরু খুঁজতে গিয়ে টর্চের আলোতে মাঠের মধ্যে একটি বাঘ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে মানুষজন এগিয়ে আসে এসময় বাঘটি রাতের আধারে রাস্তার দিকে পালিয়ে যায়।

শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বানিয়াখালী ওয়ার্ড মেম্বার সিদ্দিকুর রহমান গাজী জানান, সুন্দরবন থেকে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দুরে লোকালয়ে বাঘ আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। বাঘের খবরে গ্রামবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীকে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে বলে ঐ মেম্বার জানান।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে ধানসাগর ফরেষ্ট ষ্টেশনের বনরক্ষীরা পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামে বাঘের খোঁজ খবর নেন তারাও জনগনকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করছেন ।

গত প্রায় দুইমাস যাবৎ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের বন থেকে শরণখোলার দক্ষিণ রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, ধানসাগর টগড়াবাড়ীসহ আশেপাশের গ্রামে বাঘের আনা গোনা বেড়েছে। ইতোমধ্যে ২/৩টি গরু মহিষ বাঘের হামলার শিকার হয়েছে। বাঘের ভয়ে ঐ এলাকার মানুষ রাতে চলাফেরা বন্ধ করেছেন।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন জানান, গ্রামে বাঘ আসার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশের একটি দল পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামে যায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, লোকালয়ে যাওয়া বাঘটি একটি বাচ্চা বাঘ অথবা মেছোবাঘ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বনরক্ষীরা বাঘটিকে খুঁেজ বনে ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রমসহ জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে ডিএফও জানিয়েছেন।