১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জিয়া অরফানেজ : দুদক উদ্যোগ নেবে খালেদার আপিল শুনানির

বার্তা বিভাগ , প্রকাশিত হয়েছে-

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল আবেদনের ওপর শুনানির উদ্যোগ নিতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এমন তথ্যই জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন হয়েছে খালেদা জিয়া সাজার বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেছেন। কিন্তু তার আইনজীবীরা শুনানির জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এভাবে তো বছরের পর বছর লিভ-টু আপিল পড়ে থাকতে পারে না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করব। যদি তারা শুনানির উদ্যোগ না নেন তাহলে দুদকের পক্ষ থেকে আমরা খালেদার লিভ-টু আপিল শুনানির উদ্যোগ নেব। তবে কবে নাগাদ এ আপিলের শুনানি করা হবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে জানাননি তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টের দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি এ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অরফানেজ ট্রাষ্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান। একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

ঢাকার বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।