২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাদারীপুরে প্রতিবেশীকে মারধরের ঘটনায় মামলা ॥ কাউন্সিলর গ্রেফতার

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি: , প্রকাশিত হয়েছে-

 

 

মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের সামনে প্রতিবেশী একটি পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ মে) ভোররাতে উপজেলার নয়াকান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলা ও এলাকা সুত্রে যানা গেছে, পৌর এলাকার নয়াকান্দি গ্রামের ঝন্টু মন্ডলের পরিবারের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর আনোয়ার বেপারীর পরিবারের বাগ-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায় ঝন্টু মন্ডলের লোকজন কাউন্সেলর আনোয়ার বেপারীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এতে করে কাউন্সিলরের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ঝন্টু মন্ডলের পরেবারের উপর হামলা চালায়। এদিকে এ হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায় কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন মিলে এই হামলা চালায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় কাউন্সিলরের স্ত্রী রিক্তা বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিচ্ছেন। এসময় থানা পুলিশ ও কাউন্সিলর আনোয়ার তখন পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবং আনোয়ার তার স্ত্রীকে দূরে সড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। ঝন্টুর ছেলে উজ্জ্বল এ সময় মুঠোফোন বের করে ভিডিও করতে গেলে কাউন্সিলর আনোয়ার উজ্জ্বলের ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে বেধরক মারধর করে। এ সময় একটি ইট দিয়ে উজ্জ্বলের মাথা ফাটিয়ে দেন কাউন্সিলর আনোয়ার। অপরদিকে এ হামলার ঘটনায় ভূক্তভোগী ঝন্টু মন্ডল বাদি হয়ে এ হামলাকারী কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনসহ তার ছেলে রিফাত বেপারী ও ভাতিজা সাব্বির বেপারীরকে আসামী করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারীকে গ্রেফতার করেন।

কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারীর স্ত্রী রিক্তা বেগম বলেন, আমার স্বামীর উপর হামলা চালানোর কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।

কালকিনি থানার ওসি মো. ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, প্রতিবেশি পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এবং এই মামলার প্রধান আসামী কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।