কুড়িগ্রামে ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি গেমে দিন দিন বাড়ছে আসক্ত


মোঃ নুর আলম ইসলাম রাঙ্গা: প্রকাশের সময় : মে ১৫, ২০২২, ১১:০৭ অপরাহ্ণ / Print This Post Print This Post
কুড়িগ্রামে ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি গেমে দিন দিন বাড়ছে  আসক্ত

কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিশু, কিশোর, তরুণ এমনকি তরুণীরাও স্মার্টফোন আর অনলাইন ভিত্তিক গেম ফ্রি-ফায়ার ও পাবজিতে দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিশু, কিশোর তরুণ এবং তরুণরীরাও বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের মাঠ, ফাঁকা জায়গাতে বসে মোবাইলে খেলছে। এক তরুণীর সাথে কথা হলে তিনি নাম জানাতে অস্বীকার করে বলেন এইটা আমার ফোননা আমার বন্ধুর ফোন তার কাছ থেকে একটু নিলাম খেলতে।

প্রসঙ্গত, ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেম। মোবাইল এবং কম্পিউটার দুটোতেই খেলা যায় এই গেম। তবে ফ্রি-ফায়ার কম্পিউটার ভার্সন থেকে মোবাইল ভার্সনটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এটিতে বেশি আসক্তি হয়েছে শিশু, কিশোর, তরুণ এমনকি তরুণীরাও ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অনলাইন গেমকে, মুঠোফোন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমের ক্ষতিকর ব্যবহারকে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সচেতন মহল বলছেন, এসব গেম আসক্তির কারণে শিশু কিশোর ও তরুণরা পারিবারিক সামাজিক অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। সাথে পড়াশোনা থেকেও তাদের মনোযোগ কমছে। এই গেমগুলো মানসিক রোগের কারণও হতে পারে। শারীরিক মানসিক রোগের সাথে এই গেমটি একজন শিশু, কিশোর কিংবা তরুণীনের উপর সামাজিক মূল্যবোধের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গেমটি যেহেতু একটি জায়গাতেই আটকে থেকে খেলতে হয়। তাই, এই গেম খেলা মানুষটি সামাজিক ভাবে খুব বেশি সংযুক্ত থাকতে পারে না। আর এই কারণে সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সমাজের আচার ব্যবহার থেকেও ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে হয় সেই মানুষটিকে। এই গেমটি অতিরিক্ত খেলার কারণে চোখের সমস্যাও হতে পারে। আর সেই সাথে দেখা দেয় ঘুমের ঘাটতিও। কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি হতে পারে। আর চোখের সমস্যার সাথে ঘুমেরও ঘাটতি দেখা দেয় তাদের মধ্যে। অবিভাবকরা অনলাইন গেম সম্পর্কে ঠিকমতো ধারণা না থাকায় সন্তানের ঠিকমতো খোঁজখবর রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ করে অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।

 

চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন , এই গেম থেকে ছেলে মেয়েদেরকে সরাতে হলে অভিভাবকসহ সমাজের সবাই মিলে এ বিষয়ে তদারকি করতে হবে। না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হওয়া জরুরি


আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১